২৫ মামলায় আসামি ছিলেন খোকা, দুটিতে দণ্ড

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৩৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা দুই মামলায় দণ্ডসহ ২৫টির অধিক মামলায় আসামি ছিলেন।

সোমবার মামলা সম্পর্কে তার আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মোহসিন মিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।

আইনজীবী বলেন, দণ্ডিত দুটি মামলার মধ্যে একটি বনানী সুপার মার্কেটের কারপার্কিং ইজারায় দুর্নীতির। ওই মামলায় গত বছর ২৮ নভেম্বর ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত প্রয়াত এই নেতার ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও  ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন।

অপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর তার ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অবৈধভাবে অর্জিত ১০ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত ওই রায় দেন।

মোহসিন মিয়া বলেন, ২৫টি বেশি মামলায় আসামি করা হয় সাদেক হোসেন খোকাকে। যার মধ্যে একটি রাষ্ট্রদ্রোহসহ নাশকতার মামলাই বেশি। তিনি আরও বলেন, ‘দণ্ডিত হওয়া দুই মামলাসহ সব মামলাই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মামলাগুলোয় তাকে আসামি করা হয়।’  

২০১৪ সালের ২৩ মে চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়েন খোকা। তাই রায় ঘোষণার সময় তাকে তাকে পলাতক দেখানো হয়।

২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দুদক সম্পদের তদন্তের পর নয় কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নয় কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ৬০৯ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

অন্যদিকে কার পার্কিং এ দুর্নীতির মামলায় ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সর বেজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার জন্য ২০০৩ সালের দরপত্র আহ্বান করেন। অংশগ্রহণ করা চারটি দরপত্রের মধ্যে মিজানুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি বাষিক এক লাখ ১০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সাদেক হোসেন খোকা অপরাপর আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সাল হতে ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতি করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪নভেম্বর/আরজেড/জেবি)