জোড়া খুনে গৃহকর্মী নাহিদাসহ পাঁচজন রিমান্ডে

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:১১ | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:১২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজধানীর ধানমন্ডির জোড়া খুনের মামলায় গৃহকর্মী সুরভী আক্তার নাহিদাসহ পাঁচ সন্দেহভাজন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. রবিউল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের এ রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসমিরা হলেন- মো. বেলায়েত হোসেন, গাউসুল আযম প্রিন্স, নুরুজ্জামান ও মো. বাচ্চু।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা খুনসহ লুণ্ঠনসংক্রান্ত বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দেয়নি। তাই তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। জোড়া খুনের সাথে আসামিরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মর্মে মামলার তদন্তে, সাক্ষ্য, প্রমাণসহ তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রমাণাদি পাওয়া যাচ্ছে। এই জোড়া খুনসহ লুণ্ঠন কার নির্দেশে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তায় ও মদদে ঘটেছে তাদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারসহ মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

গত ১ নভেম্বর ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বাসায় পুরনো কাজের লোক আতিকুল হক বাচ্চু একজন নতুন কাজের মেয়েকে নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকেআফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা রুবির ফ্ল্যাটে আসেন। এরপর তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। আফরোজা বেগম এবং তার মেয়ে রুবি পাশাপাশি বসবাস করেন। বিকাল সাড়ে চার থেকে ৫টার মধ্যে দিলরুবা ওই কাজের মেয়েকে তার মায়ের ফ্ল্যাটে কাজের জন্য পাঠান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দিলরুবা তার মাকে ফোন দিলে তার মা ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য দিলরুবা তার বাসার কাজের ছেলে রিয়াজকে মায়ের ফ্ল্যাটে পাঠান। রিয়াজ সেখানে গিয়ে কলিং বেল দেন এবং ডাকা ডাকি করে কোনো শব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিলে তা খোলা পান। রিয়াজ আফরোজা বেগমকে ডাইনিং রুমের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে এসে দিলরুবাকে জানান। দিলরুবা দৌড়ে বাসার ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, ডাইনিং রুমের মেঝেতে আফরোজা বেগম পড়ে আছে এবং পাশের গেস্ট রুমে পুরনো কাজের মেয়ে দিতির রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। দিলরুবা তার স্বামীকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তার স্বামী বাসায় ফিরে বাসার সিকিউরিটি গার্ডদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সিকিউরিটি গার্ড নুরুজ্জামান জানান, নতুন কাজের মেয়েটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ১০ মিনিটের দিকে গেট দিয়ে বের হয়ে চলে গেছে। ওই ঘটনায় আফরোজা বেগমের মেয়ে দিলরুবা সুলতানা রুবি গত ৩ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/আরজেড/জেবি)