শিশু সামিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:২১

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর ওয়ারীতে ছয় বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আরজুন এই চার্জশিট ঢাকা সিএমএম আদালতে দাখিল করেন। এটি আগামী ২০ নভেম্বর মামলাটির ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে।

চার্জশিটে কারাগারে থাকা মো. হারুন অর রশিদকে আসামি করা হয়েছে। যিনি গত ৮ জুলাই থেকে কারাগারে রয়েছেন। হারুন কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার নলচর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে।

চার্জশিটে বলা হয়, আসামি হারুন অর রশিদ তার আপন খালাত ভাই পারভেজের বাসায় প্রায় দুই মাস ধরে থাকতেন। ভিকটিমের বাসা আর আসামির বসবাস করার ঠিকানা একই জায়গায়। আসামি হারুন তার খালাত ভাইয়ের রংয়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। গত ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পারভেজের ছোট ছেলে আরাফের ওষুধ আনার জন্য হারুন বাসা থেকে বের হয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজার সামনে এলে একই বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলার ৬/বি নং ফ্লাটের মালিক আবদুস সালামের ছয় বছর বয়সী মেয়েকে দেখেন। সামিয়া মাঝে মধ্যে তার মায়ের সাথে পারভেজের বাসায় আসতো এবং তার ছোট ছেলের সাথে খেলাধুলা করতো। তাই সে হারুনকে চিনত এবং চাচ্চু বলে ডাকত। ওই দিন আরাফ অসুস্থ থাকায় সামিয়া হারুনকে ছাদ দেখানোর জন্য বলে। হারুন তখন সামিয়াকে নিয়ে ওই বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি বয়ে ৯ তলায় একটি খালি ফ্লাটে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এরপর শিশু সামিয়ার গলায় শক্ত পাটের রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ওই ফ্লাটের রান্নাঘরের সিঙ্কের নিচে গলায় পাটের রশি দিয়ে পেঁচানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম গত ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে হারুন গ্রেপ্তার হয়। পরদিনই গত ৮ জুলাই হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/আরজেড/জেবি)