ক্যাম্পাস ছাড়েনি জাবি শিক্ষার্থীরা, সকালে নতুন কর্মসূচি

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২১ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করবে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংহতি সমাবেশ করবেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশের মাধ্যমে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান তারা।

এর আগে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাতের কর্মসূচি শেষ করে একটার দিকে মিছিলসহ নিজ নিজ হলে ফিরে যায়। শিক্ষক ও ছাত্ররা তাদের হলে পৌঁছে দেন।

ছাত্রীদের হলে পৌঁছে দেওয়ার পর জাবির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের রাতের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। মিছিল সহকারে আমরা ছাত্রীদের নিজ নিজ হলে পৌঁছে দিয়ে এসেছি। বুধবার সকাল ১০টায় সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।

দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় শিক্ষকসহ ৩০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার পর দুপুরে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া বিকাল সাড়ে চারটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশের কথা জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের হামলার পর দুপুর একটার দিকে পুলিশ, জাবি শাখা ছাত্রলীগ, প্রশাসনপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের কড়া পাহারায় নিজ গাড়িতে করে বাসভবন থেকে বের হন উপাচার্য। পরে সেখান থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। তাকে ‘মুক্ত’ করার জন্য ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাবি উপাচার্য।

ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এমআর