বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় সুযোগ চেয়ে অন্ধ ব্যক্তির রিট

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে সুদীপ দাস নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিট করেছেন।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুদীপ দাসের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রিটে তিনি তার পরীক্ষায় শ্রুতিলেখক দিতে নির্দেশনা চেয়েছেন।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএস) আগামী শুক্রবার বিচারক নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণ করবে।

এর আগে গতকাল সুদীপ দাসকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়,‘অন্ধ হলে বিচারক হওয়াও যেন বন্ধ। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে বিচারক নিয়োগ বিধিতে রয়েছে এমনটা। যাতে নেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি কাউকে শ্রুতি লেখক দেয়ার নিয়ম। ফলে পরপর দুই বছর পরীক্ষায় বসলেও খালি খাতা ফেরত দেন হতভাগ্য সুদীপ। জীবনযুদ্ধে এতটা পথ পাড়ি দিয়েও এখন হতাশ এই যুবক। যদিও ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালন করছেন অন্ধ বিচারকেরা।

কিন্তু সেই আইন পড়াটাই যেন কাল হয়েছে তার জন্য। এক বন্ধুর হাত ধরে সুপ্রিম কোর্টে আসেন সুদীপ দাস। কথায় কথায় জানালেন তার আশঙ্কার কথা। আগামী শুক্রবার হতে যাওয়া বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় কি অংশ নিতে পারবেন?  কেননা গত দু'বছর প্রবেশপত্র পেয়েও দিতে পারেননি এই পরীক্ষা। দেড় ঘন্টা হলে বসে থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় শ্রুতি লেখক না পাওয়ায়। পরীক্ষার আগে বারবার যোগাযোগ করছিলেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সাথে। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে মেলেনি কোনো সহযোগিতা।

ভুক্তভোগী সুদীপ দাস বলেন, 'আমি শ্রুতি লেখক ছাড়াই পরীক্ষাটা দেই। দেড় ঘন্টা হলে বসেছিলাম। কিছু লিখতে পারিনি। ওএমআর শিট পূরণ করেছি শিক্ষক ও পাশে থাকা পরীক্ষার্থীদের সহায়তায়। উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা। আমি পরীক্ষাটা দিতে চাই। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি আবেদন করতেছো, তোমাকেতো অনুমোদন দিচ্ছে না।'

তিনি বলেন, আমাকে হয়ত অনুমতি দিচ্ছে না। কিন্তু আমার হাত ধরে যদি আমার অনুজ যারা আছেন তারা যেন অনুমতি পায়।'

(ঢাকাটাইমস/৬ নভেম্বর/এআইএম)