অবৈধভাবে এসআরও সুবিধায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ২১:০১

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা পশ্চিম কাস্টমস ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষ সাভার এলাকার একটি কংক্রিট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলের আশ্রয়ে নেয়া ২০ কোটি টাকা ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির নাম মেসার্স এনডিই রেডিমিক্স কনক্রিট লিঃ, দাউন, বিরুলিয়া, আশুলিয়া, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর: ০০১১১১৮৮৪-০৪০৩।

বুধবার ঢাকা পশ্চিমের একটি দল ওই কারখানায় আকস্মিক পরিদর্শন করে এই তথ্য উদঘাটন করে।

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, এটি একটি রেডিমিক্স কনক্রিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এই ইউনিট উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ক্রাশড পাথর, সিমেন্ট, এডমিক্সার, বালি এবং পানি ব্যবহার করে থাকে।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ রেডিমিক্সের বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে জানতে পারেন যে, এর উৎপাদনে কোনক্রমেই লাইমস্টোন নামের উপকরণ ব্যবহার হয় না। এ বিষয়ে বুয়েটের মতামত আমলে নেয়া হয়। অন্যদিকে পরিদর্শনের সময় প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধির বিবৃতিও গ্রহণ করা হয়। তিনি স্বীকারাক্তি দেন যে, রেডিমিক্স কনক্রিট উৎপাদনে উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইমস্টোন ব্যবহার করেনি।

কাঁচামাল হিসেবে লাইমস্টোন ব্যবহার না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি উক্ত পণ্য আমদানি করেছে এবং আমদানির সময় এসআরও সুবিধা বিশিষ্ট এইচএস ২৫২১.০০.১০ ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য এনডিএ কর্তৃপক্ষ সাভার ভ্যাট বিভাগে মূসক-৭ এ উপকরণ হিসেবে পণ্যটির ব্যবহারের তথ্য প্রদর্শন করেছিল।

এর ফলে অধিক মুনাফার নিমিত্ত আমদানিকৃত সকল লাইমস্টোন স্বল্প শুল্ককরাদি দিয়ে খালাস করে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে।

বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু চুন বা সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, সেহেতু প্রতিষ্ঠানটি এসআরও সুবিধায় উক্ত কোড ব্যবহার করে লাইমস্টোন আমদানি করতে পারে না।

ঘোষিত মূসক-৭ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পণ্যটি আমদানির সময় মোট রাজস্বের হার ৬৮.৮% বিশিষ্ট কোড ঘোষণা করার পরিবর্তে মোট ৩১% বিশিষ্ট কোড ঘোষণা করে।

প্রতিষ্ঠানটি এ যাবৎকালে ০৫ টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে পণ্য খালাস করে। এগুলো হলো: বি/ই নং- সি-১৫১১৩২৪, তারিখ: ২৬.০৯.২০১৯, সি-১৫৩৪৫৪৭, তারিখ: ০১.১০.২০১৯, সি-১৫৬৯৩১২, তারিখ: ০৯.১০.২০১৯, সি-১৫৯৮১১৪, তারিখ: ১৫.১০.২০১৯ এবং সি-১৬৬৮৯৪১, তারিখ: ২৮.১০.২০১৯। এভাবে এসআরও সুবিধায় মোট ২০৪৯৮০ মেট্রিক টন লাইমস্টোন অবৈধভাবে আমদানি করেছে।

আমদানিকৃত এসব পণ্যের মূল্য প্রায় ৫২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা এবং পরিশোধিত মোট রাজস্ব প্রায় ১৬ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা।

কিন্তু এসআরও সুবিধা বিহীন কোডের মোট রাজস্বের হার ৬৮.৮০% অনুযায়ী উক্ত পরিমাণ লাইমস্টোন আমদানির সময় পরিশোধযোগ্য মোট রাজস্বের পরিমাণ হতো ৩৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি এভাবে মিথ্যা কোড ও উপকরণ ঘোষণা দিয়ে আমদানি পর্যায়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের ঘোষণায় লাইমস্টোনের নাম মূসক-৭ থেকে বাতিল করে দিয়েছে।

একইসাথে, তিনি কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামকে প্রতিষ্ঠানের নামে খালাসের অপেক্ষমাণ চালান উক্ত এসআরও সুবিধায় খালাস না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এ ব্যাপারে মূল্য সংযোজন কর আইন, ২০১২ ও দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী পৃথক মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী ফাঁকিকৃত রাজস্ব আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬নভেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :