অর্থপাচার মামলা: আ. সালামের স্থগিত আবেদনের রায় অপেক্ষমাণ

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৪ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলা বাতিল চেয়ে একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালামের আবেদনের রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছে হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবদুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক।

পরে খুরশীদ আলম খান আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি বাতিল চেয়ে আবদুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। এরপর আদালত রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এ অবস্থায় আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে আদালত।

২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সালামের ভাই আফতাবুল আলম ও ইটিভির সাবেক সিনিয়র ব্যবস্থাপক ফজলুর রহমান শিকদার। আসামিদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়, সংরক্ষণ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আবদুস সালাম একুশে টিভির চেয়ারম্যান থাকাকালে প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা তোলেন। পরে সে টাকা দিয়ে ৩০ হাজার ইউরো কিনে সংরক্ষণ ও পাচার করেন। এছাড়া ইটিভির সাবেক এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। গত ২ মার্চ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে একুশে টেলিভিশনের প্রায় ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ভোরে আবদুস সালামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে পর্নোগ্রাফি আইনে করা ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো। এরপর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আবদুস সালামসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলাও করা হয়।

(ঢাকা টাইমস/৬নভেম্বর/এআইএম/মোআ)