উইঘুর নারীদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করছে চীন

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিম নারীদের মাসের ছয় দিন সরকারি কর্মকর্তাদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করছে চীন। বিশেষ করে সংশোধনের নামে বন্দিশালায় আটক করে রাখা বন্দিদের স্ত্রীকে মাসের যে কোনও ছয় দিন পালা করে চীনা কর্মকর্তাদের শয্যায় যেতে হবে। ব্যক্তিজীবনের স্বাধীনতা হরণ করা এমন গুরুতর খবরটি দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

চীনের বিরোধপূর্ণ জিনজিয়াংয়ে সংখ্যাগরিষ্টই উইঘুর মুসলিম জনগৌষ্ঠীর। বিশে^র নিপীড়িত জনগৌষ্ঠীর মধ্যে তারা অন্যতম। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে উইঘুরদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে চীন। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানকার খবর তেমন একটা পাওয়া যায় না।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে সংশোধনের নামে চীন বন্দি করে রেখেছে বলে খবর আসে। এছাড়া সেখানকার মুসলিমদের নামাজ-রোজাসহ ধর্ম পালনে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।

ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দিশালায় রয়েছে এমন পুরুষদের স্ত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি মাসের যে কোনো ছয় দিন চীনা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হতে হবে। যেসব নারীর স্বামীদের ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে রাখা হয়েছে, তাদেরকে সঙ্গ দেবার জন্য সরকার ‘হান’ চায়নিজ পুরুষ নিয়োগ দিয়েছে। তাদের কাজ হচ্ছে প্রতি মাসে ৬ দিন করে ওই নারীদের বাড়িতে যাওয়া। তারপর সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তারা ওই মহিলারদের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে থাকবে।

চীনা সরকারি দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই নারীদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়ার জন্য তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তারা ওই নারীদেরকে সঠিক পথে চায়নিজ জীবন সম্পর্কে ধারণা দেবে। একে অপরের প্রতি যেন ‘অনুভূতি’ জাগ্রত হয় তার চেষ্টা করছেন তারা। অফিসিয়ালি ওই লোকগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ‘রিলেটিভ’ বা আত্মীয়।

ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/আরআর/ডিএম