আর্টিজান হামলার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ২০:২৮ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩৩

আদালত প্রতিবেদক

ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান (জাকির) বিচারকের কাছে ৮ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

যুক্তিতর্কে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আসা সাক্ষ্যপ্রমান আদালতে পড়ে শোনান এবং শেষে এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের আসামিদের একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই শাস্তি দাবী করে শেষ করেন। পরে আসামি পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ ও আসামি পক্ষের আংশিক যুক্তিতর্ক হওয়ার পর আগামী ১৩ নভেম্বর আসামি পক্ষের অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেন।

মামলার যুক্তিতর্কের শুনানিকালে আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে মামলাটিতে ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ৩০ অক্টোবর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি হয়। ওইদিন ৮ আসামিই নিজেদের নির্দোষ দাবী করে বেকসুর খালাস প্রার্থণা করেন। এরপর বিচারক ৬ নভেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।

ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/আরজেড/ডিএম