ভিসির দুর্নীতি প্রমাণে কললিস্ট বের করার দাবি ছাত্রলীগের

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৩২ | প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর আবাসিক হল বন্ধ ও ক্যাম্পাসে সভা-সামাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও আন্দোলনকারীদেরকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যথাযথ প্রমাণ দিতে হবে; না দিতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

প্রধানমন্ত্রী ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ অভিযোগ করার’ কথা বলার পর মুখ খুলেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা। শাখা ছাত্রলীগের এক সহ- সভাপতি ৮, ৯ ও ১০ আগস্টের কল লিস্ট বের করতে বলেছেন। সেখানেই সব প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন তিনি।

শাখা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হামজা রহমান অন্তর বলেন, ‘জাবি শাখা ছাত্রলীগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ^াসের সাথে খেলা করছে। আমরা বার বার বলে আসছি আর্থিক কেলেঙ্কারীর সত্যতা রয়েছে। স্বয়ং উপাচার্য, তার স্বামী, ছেলে আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত।’ এছাড়াও অভিযুক্তদের ৮, ৯ ও ১০ অগাস্টের কল লিস্ট চেক করলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন এই নেতা।

এর আগে শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সামনে একাধিক বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগির স্বীকারোক্তি দেন। একাধিক স্বীকারোক্তিতে তিনিও ওই আর্থিক লেনদেনের সাথে উপাচার্য, তার স্বামী ও সন্তানের সংশ্লিষ্টতার কথা দাবি করেন। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের কোন নেতা কত টাকা ভাগ পেয়েছেন তাও স্পষ্ট বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার পর থেকে একে একে ক্যাম্পাসে গিয়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এরপর বেলা একটায় বিশ^বিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’- এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কিছুসময় অবস্থান করে। তারপর বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির তদন্তের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, আমার যে অভিযোগ করছি তা তদন্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরাতো গোয়েন্দা সংস্থার লোক না। এই পরিস্থিতিতে সহিংসতাকে উসকে দিতে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা। এসময় আন্দোলনকারীরা উপাচার্যকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার দাবি জানান। একইসাথে তদন্ত চলাকালে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।

সমাবেশ নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, গতকাল শিক্ষা উপমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেই কথার সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি। উনি আমাদের অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রমাণ সহকারে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন। আমরাতো বিষয়টি প্রমাণ করতে আসিনি। তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের।

ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :