‘১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হবে’

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৩৩

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই সকল রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১৫ হাজার দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শুক্রবার সকালে গাজীপুরের রথখোলায় বঙ্গতাজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরিচয়পত্রের পেছনে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা লেখা থাকবে। এছাড়া আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সকল কবর একই ডিজাইনে করে দেওয়ার প্রকল্পের কাজও শুরু হবে। এছাড়া বিসিএস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা সংযুক্ত করা হবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান,  গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সবুজ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও বর্তমানে তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১৫ হাজার দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর বাড়ি করে দেওয়া হবে, যার প্রত্যেকটির মূল্য হবে ১৫ লাখ টাকা।

এ সময় চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়েও কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে ছাড় দেওয়া হয়নি। জাতির কাছে এই ম্যাসেজ পরিষ্কার ঘরের লোকদের আমরা প্রথমে শায়েস্তা করেছি। এরপর ব্যাপকভাবে সকল সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত অর্থাৎ সরকারের অধীনে সকল প্রতিষ্ঠানে ও ব্যবসায়ীসহ সকল স্তরে যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার নজরুল ইসলাম হিরু বলেন, তারা তাদের ভাতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন আমলারা। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনটির কার্যক্রম নিজেরাই পরিচালনার জন্য তারা নির্বাচন দাবি করেছেন।

নেত্রকোণা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো. নুরুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি আমাদের আদর্শের পিতা। প্রধানমন্ত্রী আদর্শের বোন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি এবং চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সন্তানদের কোটা পুনর্বহালের দাবি জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর