মেয়রের চুল কেটে রং মাখাল বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও)
দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ার একটি ছোট্ট ভেন্টো নামক শহরের মেয়র প্যাট্রিশিয়া আরসিকে জোর করে ধরে নিয়ে চুল কেটে লাল রঙে ভিজিয়ে শহরজুড়ে ঘুরিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। মেয়রকে লাঞ্ছিত করার পর তার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরও নেয়া হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মোরালেস মেয়রের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ভেন্টোর মেয়র বোন প্যাট্রিশিয়ার প্রতি আমার সব ধরনের সংহতি রয়েছে। নিজের আদর্শ ও দরিদ্রদের প্রতি নিজের নীতি রক্ষার জন্য তাকে হয়রানি ও অপহরণের শিকার হতে হয়েছে।’
গত ২০ অক্টোবরের নির্বাচনে নিজেকে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দেশটিতে সহিংতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভে এক সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের নেতৃত্বাধীন দলের একজন সদস্য মেয়র প্যাট্রিশিয়া আরসি। অভিযোগ রয়েছে, গত বুধবার দিনের শুরুতেই ভেন্টো শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি অবরুদ্ধ করে রাখায় বিরোধীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন মোরালেসের সমর্থকরাও। অভিযোগ রয়েছে এই সময় মেয়র প্যাট্রিশিয়াও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
মোরালেসের সমর্থকদের ঘুষিতে ২০ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সরকারবিরোধীরা শহরের দিকে যান। অফিস থেকে প্যাট্রিশিয়াকে টেনহিঁচড়ে বের করে রাস্তায় নিয়ে আসে বিক্ষোভকারীরা। এই সময় তারা মুখোশ পড়ে ছিলেন, যেন তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না যায়।
এরপর মেয়রকে নগ্ন পায়ে সেতুর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যাকারী আখ্যায়িত করে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে তার চুল কেটে দেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এরপর লাল রঙ তার শরীরে ঢেলে দেন ও পদত্যাগপত্রে সই করতে বাধ্য করেন। তাকে নিয়ে শহরময় পদযাত্রায় বের হন অবরোধকারীরা।
তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নারী মেয়র। তিনি বলেন, আমি থেমে যাব না। তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে। পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ার জন্য আমি প্রাণ দিতেও রাজি আছি।
ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/আরআর