‘বুলবুলে’ বাতিল রাস মেলা

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৬ | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২১

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র কারণে সুন্দরবনের দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ১০ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর এই উৎসব হওয়ার কথা ছিল।

শুক্রবার বেলা ১১টায় দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলে আছড়ে পড়ার শঙ্কায় বাগেরহাটে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঝড়ের পূর্বাভাস বাড়ার সাথে সাথে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে উপকূলের মানুষদের সরিয়ে নিতে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবকরা।

‘বুলবুলের’ প্রভাবে বাগেরহাটে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে মৃদু ঠান্ডা বাতাস বইছে। বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে এই আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে অবস্থান নেওয়া জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক দেব প্রসাদ পাল, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দীন হায়দার, সাংবাদিক শেখ আহসানুল করিম, বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ওই সভায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জেলায় মোট ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এই আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। তাদের জন্য এগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব উপজেলাতে একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সবধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। সুন্দরবনে নতুন করে কাউকে যাওয়ার অনুমতি না দিতে বলা হয়েছে।

দুবলাচর রাস উৎসব জাতীয় কমিটির সহসভাপতি বাবুল সরদার ঢাকা টাইমসকে বলেন, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের দুবলারচরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এজন্য আমরা কমিটি রাস উৎসব বন্ধ ঘোষণা করেছি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন দুপুরে ঢাকা টাইমসকে বলেন, মোংলা বন্দরে বর্তমানে কয়লা, ইউরিয়া সার, পাথর, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিংকারসহ ১২টি জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে। আরও দুটি নতুন জাহাজ বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসার খবরে বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা বন্দরে অবস্থান নেয়া জাহাজে মালামাল ওঠানামার কাজ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছি। নিজস্ব জাহাজগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে রাখছি। আমরা সতর্ক আছি।

(ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/জেবি)