ফরিদপুরে নূরু মিয়া গোল্ডকাপে বিজয়ী কলকাতা কাস্টমস

‘সরকার খেলাধুলা-সংস্কৃতির আরও বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে’

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ২০:০৩ | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৪০

বিশেষ প্রতিনিধি, ফরিদপুর

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, খেলাধুলা যুবসমাজকে  মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে এবং দেশকে আন্তর্জাতিক মণ্ডলে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। তাই বর্তমান সরকার দেশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির আরও বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে।

শুক্রবার বিকালে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে খন্দকার নূরল হোসেন নূরু মিয়া গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এমপি মোশাররফ।

ফাইনালে ঢাকা জেলার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়ে বিজয়ী হয়েছে ভারতের কলকাতা কাস্টমস দল। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতা কাস্টমস একাদশের পক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ফিলিপ আজা।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সবকিছুর ন্যায় খালাধুলায়ও বিজয়কেতন উড়ছে। যুবসমাজকে মাদক থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলাই পারে সবার মাঝে শৃঙ্খলা ফেরাতে। এই বিভাগে সরকারের বিশেষ নজর থাকায় অর্জনও অব্যাহত রয়েছে।

খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চা নিজের দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার সুযোগ করে দেয় উল্লেখ করে সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে মানুষ শৃঙ্খলা শেখে ও আত্মবিশ্বাসী হয়। মানুষ খেলাধুলা ও সংস্কৃতি থেকে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে শিখে। এটি মনে রেখে শেখ হাসিনার সরকার দেশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির আরো বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে।’

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘দেশ একসময় খেলাধুলায় পিছিয়ে ছিল।  অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেসব বাধা দূর করেছে এই সরকার। আমরা সেসব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

‘একমাত্র খেলাধুলাই পারে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ফরিদপুরে পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করা হয় খন্দকার নুরুল হোসেন নূরু মিয়া গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে ফরিদপুরসহ দেশের ১২টি ও ভারতের দুটি দল মোট ১৪টি দল অংশ নেয়।

পরে চ্যাম্পিয়ন দলকে গোল্ডকাপ দেয়ার পাশাপাশি সাত লাখ টাকা এবং রানারআপ দলকে ট্রফির পাশাপাশি তিন লাখ টাকা প্রাইজ মানি হাতে তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/ইএস