উপকূলজুড়ে ‘বুলবুল’ আতঙ্ক

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৪ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সংকেত বাড়িয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ নয়টি জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে। এই অবস্থায় উপকূলজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন।

উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ভবন, পাকা ও নিরাপদ স্থাপনা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

নভেম্বর মাসে দুর্যোগের কথা শুনলেই আঁৎকে উঠে উপকূলবাসী। কারণ তারা ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় এবং ২০০৭ সালে ১৫ নভেম্বর ‘সিডর’ নামের ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা এখনো ভুলতে পারেনি। ২০০৯ সালের আইলার কথাও তাদের মনে পড়ে।  

তবে সিডরের পর থেকে প্রশাসনের তৎপরতায় বিগত সময়গুলোতে যেকোনো দুর্যোগেই প্রাণহানিসহ সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ কম ছিল। বিশেষ করে গত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের আগে সরকারের প্রচার-প্রচারণা এবং সার্বিক প্রস্তুতিতে বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচা গেছে। যদিও সিডর-আইলার মতো ঘূর্ণিঝড় বিগত কয়েক বছরে হয়নি।

গতকাল ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা এবং জনসাধারণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন। বিগত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় যেভাবে তারা মোকাবেলা করেছেন সেভাবে এবারো সাফল্যের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

(ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/জেবি)