সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার মানুষদের নেয়া হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৩০ | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১৯
ফাইল ছবি

ঘূর্নিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির সাথে মৃদু বাতাস বইছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০নং সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

‘বুলবুলে’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জসহ সাতটি উপজেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, আটুলিয়া, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসার কাজ চলছে। সুন্দরবন সংলগ্ন মাহমুদা, কালিন্দি, কপোতাক্ষ ও থোলপেটুয়া নদীতে এক থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষজন ও যানবাহন চলাচল কম রয়েছে। মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচারনা চলছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ২৭০টি আশ্রয় শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১২৫২টি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ফাঁকা করে রাখা হয়েছে।

শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার জনগণকে শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ কবলিতদের সহায়তায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল, ২৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, পানীয় জল, ওষুধপত্র, পাঁচ লাখ ১০ হাজার নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। রেডক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, মেডিকেল টিম, নৌ ও স্থলযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইভাবে পুলিশ, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও বিজিবির পক্ষ থেকেও উপকূলীয় এলাকায় বুলবুল মোকাবেলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :