গাজীপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪২

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের বিলাসপুর এলাকায় এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় ভাসুরের ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বখাটেপনা আর অর্থ লিপ্সার কারণে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. হোসেন ওরফে আপন ওই গৃহবধূর ভাসুর মৃত আব্দুল হামিদ বেপারীর ছেলে। তার বাড়ি ভোলার বঙ্গেরচর গ্রামে। অপর দুজন হলেন মাগুরার নারায়নপুর গ্রামের জহির রায়হানের ছেলে ইমন রায়হান এবং সাভারের ঝাউচর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রায়সুল ইসলাম রিফাত।

র‌্যাব-১-এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন শনিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, গত ৩ নভেম্বর মেট্টোপলিটন সদর থানার বিলাসপুর এলাকায় ভিকটিম রিনা আক্তারকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয় এবং তার স্বামী মো. সিদ্দিক বেপারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা মুখ বেধে ধারালো অস্ত্র দ্বারা শরীর এর বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপায়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু ভেবে মেঝেতে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে এঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‌্যাব।

র‌্যবা কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত রায়সুল ইসলাম রিফাত আশুলিয়ায় আত্মগোপন করে আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সেখানে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে রায়হানের নানার বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর বাজার থেকে হোসেন ওরফে আপন ও তার বন্ধু ইমন রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূল হোতা হোসেন ওরফে আপন, রিফাত, রায়হান একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বখাটেপনা আর অর্থলিপ্সা কারণে হোসেনের চাচা সিদ্দিক ব্যাপারীর পরিবারকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। এজন্য গত ২ নভেম্বর তিন বন্ধু ব্যাগে চাকু ও রশি নিয়ে আশুলিয়া থেকে গাজীপুরে চাচা সিদ্দিক বেপারীর বাসায় পৌঁছে।’

‘পরিকল্পনা মতো সিদ্দিক বেপারী ভোর রাতে নামাজের উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হলে চাচী রিনা আক্তারকে ডেকে তুলে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বিছানায় শোয়ায়ে রাখে। পরবর্তীতে চাচা মসজিদ থেকে ফেরত আসলে তাকেও রশি দিয়ে বেধে ফেলে জবাই করার চেষ্টা করে এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাসার আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমানের স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।’

(ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বের/প্রতিনিধি/এএইচ)