ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভায় দু’পক্ষের হাতাহাতি

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ২১:০৫

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির ৮ম সাধারণ সভায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় জুনিয়র ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে এ হাতাহাতি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের দীর্ঘ আন্দোলনের পরে গত ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৭তম সিন্ডিকেট সভায় উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের চতুর্থ গ্রেড এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের ষষ্ঠ গ্রেডের বিষয়টি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গৃহিত সিদ্ধান্তে সকল কর্মকর্তার একই বেতন স্কেল না দিয়ে ডিগ্রিরভিত্তিতে বেতন স্কেল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও এই প্রস্তাবের সাথে আরও দুটি শর্ত দেয়া হয়। শর্তসমূহ হচ্ছে স্কেল প্রদানের কারণে বেতন সমতাকরণ ও বকেয়া ফিক্সিশন সুবিধা প্রদান করা যাবে না, স্কেল প্রদানের পর সরকারি অডিট কর্তৃক আপত্তি উঠলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ এ সুবিধা প্রত্যাহার বা সংশোধন করবে।

কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কর্মকর্তা সমিতির একাংশ মেনে নিলেও অন্য একাংশ সার্বজনীন বেতন স্কেলের দাবি জানায়। পরে কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ হতে এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়। সমিতির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় যে, তারা সাধারণ সভায় সমিতির সকল সদস্যের মতামতেরভিত্তিতে তাদের মতামত জানাবেন। 

এ অনুরোধের ভিত্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী নিজ ক্ষমতাবলে সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেন। তারই প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনার জন্য গতকাল এ সভা হয়। সভায় জামিরুল নামে এক কর্মকর্তা বক্তব্য দেয়ার সময় সদ্য পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, বিপুল, শিমুল, সেলিম, গোলাম, বাদলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। পরে তারা জামিরুলকে মারতে মঞ্চের উপরে উঠে যান। এসময় সিনিয়র কর্মকর্তা পরাগ, আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের আটকাতে যান। ঘটনার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন বলে জানা গেছে। 

কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসন নীল নকশার মাধ্যমে কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। কিছু প্রশাসনের অনুগত কর্মকর্তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালালে সাধারণ কর্মকর্তারা এতে বাধা দেয়।’

(ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/এলএ)