এক অঙ্কের সুদহার বাস্তবায়নে তিন বিষয়ে গুরুত্বারোপ ডিসিসিআইয়ের

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫১ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

খেলাপি ঋণ অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসির। খেলাপি বাড়ার জন্য অধিক সুদহারও দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সরকারের এক অঙ্কের সুদহার বাস্তবায়নের জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদহার হ্রাস এবং সুশাসন একান্ত জরুরি। 

আজ শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ চিত্র’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন,  খেলাপি ঋণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে একটি পদ্ধতি হাতে নেওয়া যেতে পারে, যার মাধ্যমে প্রকৃত ঋণখেলাপি এবং অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করা যেতে পারে। এতে করে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শিল্পখাতে মেয়াদি ঋণ ২০১৮ সালের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বেড়েছে বলে জানান ডিসিসিআই সভাপতি। বলেন, একই সময়ে এসএমই ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৯০৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

সরকার এক অঙ্কে সুদের উদ্যোগ নিলেও বেশির ভাগ ব্যাংক এখনো ১১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ সুদহারে ঋণ দিচ্ছে। এতে করেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

ওসামা তাসির বলেন, মুদ্রানীতিতে দেখা যাচ্ছে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের সঞ্চয় জাতীয় সঞ্চয়পত্রের দিকে ধাবিত হওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত হয়েছে। তাই   খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে করের আওতা বৃদ্ধি করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং সরকারের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

চলতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে ওসামা তাসির বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করা আবশ্যক এবং একই সঙ্গে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় মূল্য নির্ধারণ করা খুব জরুরি।

পুঁজিবাজার নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটের অনুপস্থিতি, ভালো প্রতিষ্ঠান এবং সুশাসনের অভাব পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাকে সীমিত করে রেখেছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার স্থাপন এবং স্পেশাল পারপাস ভেহিক্যাল হিসাবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানায় ডিসিসিআই।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এসএমই প্ল্যাটফর্ম কার্যকর ব্যবহার করে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন ডিসিসিআই সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াকার চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ ও পরিচালক শামস মাহমুদ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/মোআ)