ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: ভোলায় ঝূঁকিপূর্ণ ৪৩ চরের বাসিন্দা নিরাপদে

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৩৮

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ক্রমেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার নদ-নদী। বুলবুলের প্রভাবে শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস। শনিবার বিকাল থেকেই বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে এবং কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইছে।

এদিকে বিকাল পর্যন্ত জেলায় ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৩৭ জনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। জেলার জনবসতিপূর্ণ ৪৩টি চরের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, আমরা জেলার সাত উপজেলার দুর্গম চরের আড়াই লাখ মানুষকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছি, তাদের সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও নদীর উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনকেও আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

জেলার ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদে আশ্রয় নেয়া মানুষদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ৪৬ হাজার ২৬০, দৌলতখান উপজেলায় ৩৫ হাজার ৪২০, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৩৩ হাজার ৩২০, লালমোহন উপজেলায় ৪৮ হাজার ৩৯০, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৫৪ হাজার ২১৫, চরফ্যাশনে ৬৫ হাজার ৩১০ এবং মনপুরা উপজেলায় ৪০ হাজার ৭৩২ জন রয়েছে।

সদরের ইলিশা মৌলভীরহাট আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা কবিতা, মাজেদ ও শান্তনাসহ অনেকেই জানান, সতর্কতা সংকেত পাওয়ার পর আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি, দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।

জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, সিপিবির ৬৮০টি ইউনিটে ৩টি করে সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিটর আওতায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। উপকূলজুড়ে সাধারণ জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য হ্যান্ডসাইরেন ও মেগা ফোনের মাধ্যমে আহবান জানানো হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদের মাইকেও প্রচার চালানো হচ্ছে নিরাপদে থাকার জন্য। গত রাত থেকেই মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/এলএ)