নোবিপ্রবিতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা
সৌন্দর্য বর্ধনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নিত্য-নতুন পরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য কয়েকটি ডাস্টবিন রয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই অপর্যাপ্ত। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে।
পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছেন শিক্ষার্থী ও দোকানিরা। তাছাড়া এসব ময়লা পরিষ্কারের জন্য নেই তেমন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। প্রতিনিয়ত অপরিষ্কার থাকায় এসব আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
গত ১ ও ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সারাদেশ থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবক এবং অনেক দর্শনার্থী আসেন। পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাবে ব্যবহারিত পানির বোতল এবং প্যাকেটজাত খাবারের মোড়ক ফেলে যান তারা। প্রশাসনের বেশকিছু উদ্যোগে কিছু ময়লা অপসারণ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি স্থানে এখনো ময়লার স্তূপ লক্ষ্মণীয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় পার্ক ক্যান্টিনের সামনে এবং গোল চত্বরের উত্তর পাশের ডাস্টবিনের আশেপাশে রয়েছে ময়লার স্তূপ। একাডেমিক ভবনগুলো ও অডিটোরিয়ামের আশপাশে কয়েকটি ডাস্টবিন থাকলেও ভবনের গা ঘেঁষেই ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের পাশে ও নীল দীঘির পাড়ে ডাস্টবিনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার আশেপাশেই সব ধরনের ময়লা আবর্জনা রাখার জায়গা নির্ধারণ হয়। সদ্য চালুকৃত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল ময়লার স্তূপ।
বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ডাস্টবিন কম থাকায় ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে ময়লার সয়লাব। ক্যাম্পাসের দোকানিরা এর জন্য বেশি দায়ী। এছাড়া এসব ময়লার জন্য আমাদেরও দায় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী নেই। প্রশাসনের কাছে আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মী চেয়ে কয়েকবার আবেদন করেছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিগগির তা সমাধান করবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমরা বেশকিছু স্থায়ী ডাস্টবিনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সর্বোপরি সবাই সচেতন হলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুন্দর থাকবে।
রেজিস্ট্রার মমিনুল হক বলেন, আমাদের নিয়োগ বন্ধ থাকায় এখন কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত দিনমজুর দিয়ে নিয়মিত ক্যাম্পাস পরিষ্কার করাব। আর ডাস্টবিন বাড়ানোর বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)