ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩২

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবনে পাসপোর্টের  হাল নাগাদ বিভিন্ন তথ্য ও সেই সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে সুযোগ ও সুবিধাগুলো দিয়েছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে কাউন্সিলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান ও এরফানুল হক এবং প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্যগুলো তুলে ধরেন।

১০ হাজারের অধিক পাসপোর্ট জটিলতা রয়েছে এমন অপপ্রচারের জবাবে প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য প্রদান করে তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ শুরু তখন ৪১৭টি পাসপোর্ট জমা পড়ে এবং দূতাবাস  প্রদান করে ৪১৭টি, ২০১৫ সালে জমা পড়ে ২৫ হাজার ৭৫৪টি, প্রদান করা হয় ২৫ হাছার  ৬৩৭টি, ২০১৬ তে জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯০৮টি, প্রদান করা হয় ১৬ হাজার ৯৯৮টি, ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৯৮৬টি পড়ে জমা, আর প্রদান করে দূতাবাস ১০ হাজার ৫৪০টি পাসপোর্ট, ২০১৮ সালে ১০ হাজার  ৭৮৬টি জমা পড়লে প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯৬৭টি। এদিকে সর্বশেষ ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫৮৭টি, আর দূতাবাস প্রদান করে ১১ হাজার ৪৫৬টি।

এদিকে তথ্য পরিবর্তনের কারণে পাসপোর্ট পেইন্ডিং রয়েছে ৭৮২টি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে পেইন্ডিং আছে ৯২০টি। সব মিলিয়ে ১৭০২টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। এভাবে তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট আবেদন না করারও আহবান জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।

কাউন্সিলর এরফানুল হক বলেন,   বাংলাদেশ দূতাবাস ১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত এই অর্থ বছরে যারা সবোর্চ্চ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এখানে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরুষ থাকবে তিনজন ও নারী থাকবে দুজন। এক্ষেত্রে ৩০ নভেম্বর আবেদনগ্রহণের শেষ তারিখ বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শতকরা ২% প্রণোদনা কার্যকরী হয়েছে এবং যে ব্যাংকগুলো এখনো করেনি সেগুলো ও এই শুরু করবে। পাশাপাশি ওয়েজ অর্নাস কল্যাণ বোর্ডের নিবন্ধন করলে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত সহযোগিতা, প্রবাসী ঋণ ও প্রবাসী লাশ বহনের খরচসহ বিভিন্ন সুবিধাগুলোর কথা জানান।

এদিকে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে কাউন্সিলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রদূত শুধু রোমেই নয় বিভিন্ন প্রভিন্সগুলোতে কনস্যুলেট সার্ভিসে নিজে যান। সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে যে কোন বিষয়ের উপর কথা বা দেখা করতে যে কেউই তার কাছে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। সেখানে এই ধরনের কর্মসূচিতে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই হবে মূল উদ্দেশ্য অন্য কিছু নয়।

সংবাদ সম্মেলনে অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব ও বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এলএ)