তিন-চার বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৪১ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সারাদেশের মানুষকে এখনো নিবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারেননি এমনটা স্বীকার করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে তা সম্ভব হবে। 

সোমবার বিকালে সংসদে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সময় নিয়েছে ৫০ বছর। আমাদের অতটা সময় লাগবে না। আমি কখনোই বলিনি যে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছি। তবে আমরা তিন থেকে চার বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারব।’

মানিকগঞ্জ-২ আসনের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১০ কিলোওয়াট। সারা দেশে অফগ্রিড এলাকায় স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯টি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ১০ বছরে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৯ হাজার ৪২৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সরকারি খাতে নয় হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি ও বেসরকারি খাতে ৮ হাজার ৫২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সদস্য মমতা হেনা লাভলীর তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদার অতিরিক্ত তরল গ্যাস (এলপিজি) বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি করা হলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সরকারি বেসরকারি খাত মিলিয়ে দেশে এলপিজি উৎপাদনের পরিমান প্রায় ৭.২ লাখ মেট্রিক টন। ২০০৯ সালে যা ছিল প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন।

তিনি জানান, বর্তমানে ২৪টি প্রতিষ্ঠান দেশে এলপিজি আমদানি, বোতলজাত ও বাজারজাত করছে এবং আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান শিগগিরই উপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান অবকাঠামো (জেটি, এলপিজি মজুদ ও বোতলজাতকরণ ক্ষমতা) বিবেচনায় এলপিজি উৎপাদনের সক্ষমতা বর্তমানে দেশের চাহিদা/উৎপাদন এলপিজি’র পরিমানের চেয়ে অনেক বেশি।

নসরুল হামিদ বলেন, এই বর্ধিত উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করে এলপিজি উৎপাদন ও দেশের চাহিদার অতিরিক্ত এলপিজি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রপ্তানী করা হলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এ ছাড়া আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন ও এআইটি হিসেবে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবহনসহ এলপিজি ব্যবসায় বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/জেবি)