মিথ্যা তথ্যে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ চাকরি, রাজস্ব কর্মকর্তার কারাদণ্ড

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫২ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০১

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ায় মো. মনিরুজ্জামান নামে এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার ১৬ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত মনিরুজ্জামান মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ ও মরিয়ম বেগম ওরফে ময়না বেগম দম্পতির ছেলে।

আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম জেরা জানান, আদালত ১৬ বছর কারাদণ্ডের সাজার মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৭ বছর, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর এবং জাল জেনেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ চাকরি পেতে ব্যবহার করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া রায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

তবে রায়ে সকল ধারার সাজা একযোগে কার্যকর মর্মে আদেশ দেওয়ায় আসামিকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি মনিরুজ্জামান পলাতক ছিলেন। তিনি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজা গণনা শুরু হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত রায়ে বলেছেন, আসামি মনিরুজ্জামান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও তার বাবা মো. আব্দুস সামাদের নামঠিকানা ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ তৈরি এবং নিজে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রত্যায়নসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তৈরি করে তা দাখিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি নেন। যার মাধ্যমে সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন। তাই আসামি কোনো অনুকম্পা পেতে পারে না।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে মামলাটি করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল হয়। ওই বছরই আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।

ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/আরজে/এমআর