ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের বাড়ি হবিগঞ্জে, চাঁদপুরের ৬ জন

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪১ | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬ জনের মধ্যে সাতজন হবিগঞ্জের বাসিন্দা। ছয়জন হলেন চাঁদপুরের। আর একজনের বাড়ি মৌলভীবাজারে। অন্য দুজন নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে খোঁজখবর নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক হামরুল হাসান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে হবিগঞ্জে যাদের বাড়ি তারা হলেনÑ আলী মো. ইউসুফ, বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাদ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আল আমিন, টাম্বুলিটুলা মহল্লার সোহেল মিয়ার দুই বছর বয়সী মেয়ে আদিবা আক্তার, শহরতলির বহুলা গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে ইয়াসিন, চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও গ্রামের আব্দুল হাশেমের ছেলে হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র আশিকুর রহমান সুজন, উলুকান্দি গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া ও একই উপজেলার পেয়ারা বেগম নামে এক নারী।

অন্যদিকে আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ছয়জন রয়েছেন চাঁদপুরের। তারা হলেন- হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান, চাঁদপুরের কুলসুম বেগম, চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা, চাঁদপুরের হাইমচরের কাকলী, চাঁদপুর সদরের ফারজানা ও চাঁদপুরের হাইমচরের মরিয়ম।

এছাড়া নিহত ১৬ জনের মধ্যে বাকি তিনজন হলেন মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি ও নোয়াখালীর মাইজদির রবি হরিজন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন। আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের পর তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি উদয়নের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এর মধ্যে দুটি বগি ভীষণভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট ও পুলিশ যোগ দেয়। দুর্ঘটনায় আহত অর্ধশতাধিক যাত্রীকে কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :