আ.লীগে দূষিত রক্তের দরকার নেই: কাদের

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের দরকার নেই মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুটি কয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা আওয়ামী লীগ বদনামের ভাগিদার হবে না। গোটা আওয়ামী লীগের ভালো লোকদের ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। যারা অপকর্ম করবে, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা করবে সেসব অপকর্মদারীদের স্থান আওয়ামী লীগে নেই।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের একটি কনভেনশন হলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দূষিত রক্তের দরকার নেই। দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে।’

কারও অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন হচ্ছে। ১০টা উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে যদি একটি খারাপ আচরণ হয়। আমরা পরিবর্তন চাই। কিন্তু সেই পরিবর্তন চাই না যে পরিবর্তন আওয়ামী লীগকে আদর্শের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। শিকড়ের সঙ্গে আদর্শ বিস্তৃত। সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে যারা কাজ করবে তাদের চরিত্র হারালে চলবে না।’

‘ট্র্যাডিশন চাই, সেটা হচ্ছে সিনিয়র ‍জুনিয়রকে স্নেহ করবে, জুনিয়র সিনিয়রকে সম্মান করবে। এখানে আমরা ডিজিটাল চাই না। আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রাখতে হবে, সেটাই ট্র্যাডিশন। মানুষের মাঝে থেকেই পরিবর্তনের ধারা এগিয়ে নিতে হবে।’

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু ব্যবসা করলে তিনি দেশের এক নম্বর ধনী হতেন। কিন্তু রাজনীতিকে তিনি মানি মেকিং মেশিন করেননি। আজ অনেকে রাজনীতিকে কেনাবেচার পণ্য মনে করে। জনগণকে ভালোবাসতেন বলেই তার প্রতি জনগণের ভালোবাসা আজও দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। চট্টগ্রামের সমার্থক হয়ে গিয়েছিল দুই নাম-বাবু ভাই ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আখতারুজ্জামান বাবুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দল যখন মহাবিপর্যয়ে তখন সব চক্রান্ত উপেক্ষা করে যারা চট্টগ্রামের মাটিতে দলের রাজনীতি করেছেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের একজন আখতারুজ্জামান বাবু।

‘৭৫’র পর দল চালানোর ক্ষেত্রে বাবু ভাইয়ের হাত সবসময় প্রসারিত ছিল। সমস্ত রক্তচক্ষু, প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আওয়ামী লীগ আজ টিকে আছে বাবু ভাইদের মতো নেতাদের জন্য।’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে যখন অনেক বড় বড় নেতা আস্থার সংকটে ভুগেছিলেন তখন তিনি (আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু) আস্থা হারাননি। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে অনেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছিলেন তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দল ছেড়ে যাননি বরং নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে দলের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/এমআর