বালিশকাণ্ড: গণপূর্তের দুই প্রকৌশলীসহ চারজনকে দুদকে তলব

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৪ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গণপূর্তের আরও দুই প্রকৌশলী ও দুই ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার তাদের তলবি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।

যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন রাজশাহী গণপূর্ত জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী (স্টাফ অফিসার) তানজিলা শারমীন, গণপূর্ত বিভাগ পাবনার সহকারী প্রকৌশলী (স্টাফ অফিসার) মো. রুবেল হোসাইন, ঢাকার মিরপুরের সাজিন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিলা শারমীন ও সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হোসাইকে ১৪ নভেম্বর এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ২০ নভেম্বর তলব করা হয়েছে।

রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

দুর্নীতির নমুনা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর আর সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়েছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাই মাসে আদালতে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।

গত ৩ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।

৬ নভেম্বর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, তাহাজ্জুদ হোসেন ও মো. মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামারুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ ও মো. ফজলে হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

৭ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম জিল্লুর রহমান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশল মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন কুমার নন্দি, মো. শাহীন উদ্দিন ও মো. জাহিদুল করিমকে।

১১ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজশাহী গণপূর্ত অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমানসহ সাতজনকে। সেদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি ছয় প্রকৌশলী হলেন- রাজশাহী গণপূর্ত অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান, পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা, সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম ও মো. রওশন আলী, রাজশাহী সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসানুল হক ও খোরশেদা ইয়াছরিবা।

ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/এমআর