বানার বাঁধে হুমকিতে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য

সাইফুল ইসলাম, নাটোর
 | প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৯

চলনবিলের তাড়াশ-বারুহাস ডুবন্ত সড়কের সিংড়ার ডাহিয়া-সাতপুকুরিয়া এলাকায় বানার বাঁধ ও সুতি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণি শিকার করা হচ্ছে। ফলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চলনবিলের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, তাড়াশ-বারুহাস ডুবন্ত সড়কের সিংড়ার ডাহিয়া এলাকায় বানার বাঁধ দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের মাছসহ কাঁকড়া, শামুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি নিধন করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি বাঁধে দুই কিলোমিটারের বেশি অংশ বাঁধ দিয়ে ঘেরা। এটি এতটাই নিñিদ্র যে, জলজ কীটপতঙ্গ পর্যন্ত আটকা পড়ছে।

এলাকাবাসী জানান, ডুবন্ত সড়ক থেকে তিশিখালী মাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। অপরদিকে মাগুড়া বিলে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। সাতপুকুরিয়ার তিশিখালী মাজারের পাশেও সুতি দিয়ে মাছ শিকার চলছে।

অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ ফজলুর রহমান বলেন, ‘সরকার যখন নিষেধ করেছিল, তখন আমরা মাছ মারিনি। এখন সরকার বিল উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তাই মাছ মারছি।’

এভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ও জীববৈচিত্র্য নিধন করা ঠিক? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাই মারছে, তাই আমরাও মারছি।’

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘চলনবিলে নির্বিচারে মাছ ও জীববৈচিত্র্য নিধন বংশ বৃদ্ধিতে বাঁধার সৃষ্টি করছে। আর একারণে দেশীয় প্রায় ৪০ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে বৃহৎ এই বিলকে রক্ষা করতে সকলের সহযোগিতা দরকার।’

সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জহুরুল হক বলেন, ‘এই বানার বাঁধগুলো ইতোপূর্বে অপসারণ করা হয়েছে। আবার নতুন করে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে শুনেছি। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার বলেন, ‘চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। আর প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :