দুদকে এজাহার দায়ের ও তদন্তের বিরুদ্ধে রিট

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ২২:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে এজাহার দায়ের  এবং ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস ও ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়ালের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইউম খান ও মমতাজ পারভীন সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

রিট আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১(২)(ঘঘ)(ছ), ৪, ৯(ক), ১০ নম্বর বিধি ও ফরম-২খ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। 

এতে বিবাদী করা হয় আইন, স্বরাষ্ট্র ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি ও দুদক সচিবকে।

পরে সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের জানান, দুদক বিধিমালার ওই বিধি কটি সংবিধানের ৩১, ৬৫(১) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থী।

রিট আবেদনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তির অভিযোগ থানা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু দুদকের ওই বিধিামালার কারণে এখন আর থানা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। কেবল জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। থানা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পাঠিয়ে দেয় দুদকে। এরপর তার ভিত্তিতে অনুসন্ধানের পর দুদক মামলা করে।

রিট আবেদনকারীর দাবি, এই বিধিমালার মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একজন নাগরিককে দেওয়া ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মামলা করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

দুদক মামলা করার ক্ষমতাসংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে গত ২০ জুন গেজেট জারি করে। এই বিধিমালার ৪ নম্বর বিধিতে বলা হয়, কোনো নাগরিক থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট থানা ওই অভিযোগ পাওয়ার পর তা জিডি হিসেবে গ্রহণ করে দুদকে পাঠিয়ে দেবে। ১০ নম্বর বিধিতে দুদককে তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 

(ঢাকা টাইমস/ ১৩ নভেম্বর/এআইএম/মোআ)