২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থাপনা থেকে মুছতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১৭ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের সব সড়ক ও স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে ফেলতে শেষবারের মতো নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিবর্তে ওইসব স্থানের নামকরণ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অধ্যাপক মনুতাসির মামুন ২০১২ সালে এ বিষয়ে রিট আবেদন করলে এই আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সেই বছরের ১৪ মে রুলসহ খান এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম ব্যবহার স্থগিতের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

রুলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সেসবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী, তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

পরে ওইসব স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও খুলনার মেয়রকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।

বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদেশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনো স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম না সরানোর কারণে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি নিয়ে আদালত প্রশাসনকে শেষবারের মত সময় বেঁধে দিলেন।

জানা যায়, আদালতে স্বাধীনতাবিরোধী যে ২০ জনের তালিকা দেয়া হয়েছে তারা হলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলিম, মৌলভীবাজারের শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান এনএম ইউসুফ আলী, সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস, ফরিদপুরের আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, মৌলভীবাজারের মাহতাব উল্লাহ, গাইবান্ধার আব্দুল আজিজ ও আব্দুল জব্বার, যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ কায়সার আলী, নোয়াখালীর তরিকুল্লাহ, ঝিনাইদহের মিয়া মনসুর আলী, কুমিল্লার রেজাউর রহমান, নাটোরের আব্দুর সাত্তার খান মধু মিয়া ও কাছির উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের মো. তামিমুল এহসান ও মোহাম্মদ উল্লাহ, নেত্রকোনার আব্দুর রহমান, মেহেরপুরের মিয়া মনসুর আলী ও সাবদার আলী এবং ঝিনাইদহের সফি আহমেদ।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এআইএম/এমআর)