রাজশাহীতে দুই খুনে মামলায় গ্রেপ্তার ৮

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৩

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহী নগরীতে পৃথক দুই হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। বুধবার নিহতদের স্বজনরা নগরীর চন্দ্রিমা ও শাহমখদুম থানায় পৃথক এ মামলা দুটি করেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলভবনে ঠিকাদারি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার দুপুরে সংঘর্ষ শুরু হলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন নগর যুবলীগের সদস্য সানোয়ার হোসেন রাসেল। একই ঘটনায় তার ভাই বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাসেলসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে রাজাসহ দুজন এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

একই দিন বিকালে নগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই যুবকের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আব্দুল্লাহ আল ফাহিম (১৮) নামে এক কলেজছাত্র। রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিনি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ফাহিম খুনের ঘটনায় রাতেই তার বাবা গোলাম হোসেন থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দুই যুবককে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- নগরীর ভাটাপাড়া মহল্লার আজমীর হাসান (২২) ও একই এলাকার রাকিব হাসান আবির (১৯)। এদের মধ্যে রাকিবকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যদিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা জানান, যুবলীগ নেতা রাসেল খুনের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে রাতে মামলা করেছেন। মামলায় আসামি হিসেবে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এরা হলেন- নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার রাব্বি (২৫), বাপ্পি (১৯), শাহিন (২৪), শুভ (২১), চঞ্চল (১৯), কলাম উদ্দিন (১৯) এবং মোজাহিদুল ইসলাম অভ্র (১৯)।

আরএমপির মুখপাত্র জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নিহত রাসেল ও ফাহিমের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদেরও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/প্রতিনিধি/১৪নভেম্বর/এএইচ/এলএ)