বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৮

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

র‍্যাংকিং কিংবা শক্তি, সামর্থ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ওমান। তারপরও দলটির সঙ্গে প্রথমার্ধে সমান তালেই লড়াই করেছিল লাল সবুজের দল। জমাট রক্ষণে আটকে রেখেছিল তাদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। ফলে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে ওমান। ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মাসকাটের সুলতান কাবুস কমপ্লেক্সে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল শূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটের মাথায় স্বাগতিকদের লিড এনে দেন মহসীন আল খালদি। তবে টানা তৃতীয় ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশই এদিন ম্যাচে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল। ম্যাচের ১১তম মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার নেওয়া আচমকা শট চমকে দিয়েছিল ওমানকে। তৎপর গোলরক্ষক গোলরক্ষক আলী আল হাবসি ঠেকিয়ে দেন সে শট।

২৫তম মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন ওমানের আহমেদ মোবারক। বল নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় নিলে পেছন থেকে দারুণ ট্যাকেলে কোন বিপদ হতে দেননি ইয়াসিন খান। ছয় মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন ওমানের মহসিন খালদি। তবে প্রস্তুত ছিলেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। সহজেই ফিরিয়ে দেন সে শট।

৩৬তম মিনিটে ফ্রিকিক থেকে সাঈদ আল রাজাকির হেড থেকে একবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ ছিল মোহসিন সালেহর। কিন্তু তার হেড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে লুফে নেন গোলরক্ষক রানা। তিন মিনিট পর আহমেদ মোবারকের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যে থাকেনি। ৪৩তম মিনিটে বিপদে পড়তে পারতো বাংলাদেশ, যদি গোল লাইনে থাকা বলে টোকা দিতে পারতেন সাঈদ।

প্রথমার্ধে দারুণ লড়াই করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া মহসিন আল খালদির প্লেসিং শট ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশ গোলরক্ষক রানা। ৬০তম মিনিটে সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। রায়হান হাসানের ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন জীবন। তবে তার হেড সহজেই ধরে ফেলেন ওমান গোলরক্ষক হাবসি। পরের মিনিটে জীবনের আরও একটি শট সহজেই লুফে নেন এ গোলরক্ষক।

৬৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ওমান। ডান প্রান্ত থেকে আব্দুল আজিজের ক্রস থেকে আলতো টোকায় জাল খুঁজে নেন আরমান সাঈদ। নয় মিনিটে পর অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গোলরক্ষক রানাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন মহসিন সালেহ। কিন্তু তার শট বার পোস্টে লেগে বাইরে চলে সে যাত্রা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। পরের মিনিটেই ব্যবধান আরও বাড়ায় ওমান। এক সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্স থেকে ঠিকভাবে ফেরাতে পারেননি ইয়াসিন। আলগা বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আশফাক সাদ।

৮০তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এক সতীর্থের হেড থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান বিপলু আহমেদ। দারুণ কোণাকোণি শটে জাল খুঁজে নেন এ ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মহসিন। তবে দারুণ ট্যাকেলে কর্নার বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন রিয়াদুল হাসান। সেই কর্নার থেকে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। মহসিন আল খালদির বাঁকানো কর্নার সরাসরি জালের দিকে গেলে লাফিয়ে উঠে ফের কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রানা।

৮৬তম মিনিটে মহসিন সালেহর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে হাবিব আল সাদির শট বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বার পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮৯তম মিনিটে মহসিন সালেহ ফের গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। তবে দারুণ দক্ষতায় তার শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক রানা।

নির্ধারিত সময়ের ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আরও একটি গোল পায় ওমান। কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় ফাঁকায় বল পেয়ে আরমান সাঈদের শট ঝাঁপিয়ে পরে প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন রানা। কিন্তু হাতে লেগেও বল জালে জড়ালে বড় ব্যবধানেই হারতে হয় লাল সবুজের দলটিকে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ নভেম্বর/এআইএ)