‘ভোট ছাড়া সরকার গঠন হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব’

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করা সম্ভব হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা সম্ভব এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘ভোট ছাড়া নির্বাচন হয়ে সরকার গঠন সম্ভব হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সিন্ডিকেটের কারসাজি। বর্তমানে পেঁয়াজের অভাবের চেয়ে পেঁয়াজের সংকটের প্রচার সিন্ডিকেটকে আরও বেশি সুযোগ করে দিয়েছে।’

উপস্থিত বিএননি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির তালিকার মত করে তাদের নাম বলতে হয়। পত্রিকায় তাদের নাম-ছবি না এলে ক্ষুব্ধ হন। পত্রিকায় নাম না এলে কি আন্দোলন হয় না? এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অনলাইন পত্রিকা, এত টেলিভিশন এবং ফেসবুক ছিল না। তাহলে সেই সময় কি আন্দোলন হয়নি? সুতরাং পত্রিকায় নাম ও ছবি আসা, নিজেকে জাহির করার মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে আমাদের।’

গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বিএনপির আন্দোলন দুই ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। একটি প্রেসক্লাবকেন্দ্রিক আন্দোলন বা সংবাদ সম্মেলন এবং আরেকটি বিএনপির কার্যালয়কেন্দ্রিক আন্দোলন। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি হয়ে উঠেছে আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি। আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি করে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারচেয়ে আক্রমণাত্মক রাজনীতি করলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

সরকারের ইচ্ছা ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের ইচ্ছা ছাড়া আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলন-সংগ্রাম করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি অর্জন করতে হবে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আন্দোলন করে শেখ সাহেবকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) মুক্ত করতে না পারলে তার ফাঁসি হয়ে যেত। জনগণের আন্দোলনের ফলেই তিনি মুক্ত হয়ে আসেন এবং সেসব মামলাও কোথায় গিয়েছে তার কোনো হদিস নেই ।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি সাত দফা দিয়েছিল। এক দফা দাবি দিয়ে যদি খালেদার মুক্তি চাইতাম, তাহলে খালেদার মুক্তি না হয়ে যেতো না। নির্বাচনের ফলাফল যে এমন হবে এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো আমাদের দাওয়াত দেননি। ড. কামাল হোসেন দাওয়াত চেয়েছেন। চেয়ে দাওয়াত নিলে সেখানে অতিথি আপ্যায়নও তেমনি হয়।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ আসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেসারুল হক, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, তেজগাঁও থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/কারই