যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:১২

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যশোরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় ময়না খাতুন নামে এক প্রসূতি মারা গেছেন। তিনি সদর উপজেলার নতুন খয়েরতলা এলাকার মুদি দোকানদার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসক পরিতোষ কুমার কুণ্ডকে আটক করেছে পুলিশ। 

মৃত ময়না খাতুনের ভাই শিমুল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দড়াটানা থেকে হেঁটে কুইন্স হাসপাতালে নিয়মিত চেক করতে যান ময়না খাতুন। এসময় ওই ক্লিনিকের নার্স সুরাইয়া বেগম তাকে জরুরিভিত্তিতে অপারেশন করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তখন ওই ক্লিনিকে কোন গাইনি চিকিৎসক ছিলেন না। তাই পাশের বন্ধন ক্লিনিকে যেতে প্রসূতিকে উদ্বুদ্ধ করেন। বলেন, ‘সেখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. পরিতোষ কুমার কুণ্ডু আছেন। তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন।’ এসময় ময়না খাতুনের পরিবার রাজি না হলেও সুরাইয়ার চাপে বন্ধন ক্লিনিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, সিজারিয়ান অপারেশন না করলে মা-মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব নয় জানালে।  পরে ময়নার স্বজনরা অপারেশন করার জন্য রাজি হন। সিজিয়ান অপারেশনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে জরুরিভিত্তিতে এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স আনতে বলেন পরিতোষ কুমার কুণ্ডু।

এসময় প্রসূতির স্বামী ইসমাইল হোসেন অপারেশনের টেবিলে গিয়ে দেখেন, ময়না মারা গেছে। ইসমাইল হোসেনের চিৎকারে তার পরিবারের অন্যরাও অপারেশন টেবিলে যান। মারা যাওয়ার পরও কেন রক্ত এবং অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসতে বলেছেন তার কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিকের স্টাফরা কোন উত্তর দিতে পারেননি। এসময় চিকিৎসক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে ক্লিনিকে আটকে রাখে।

ময়না খাতুনের ভাই শিমুল হোসেন অভিযোগ করেন, ওই রাতে বন্ধন ক্লিনিকের মালিক মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের জীবননাশের হুমকি দেন।

এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে- চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/প্রতিনিধি/এএইচ/এলএ