দাম বেড়েছে চিকন চালের, কমেছে সবজির

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৯ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে আগুনের মধ্যে দাম বেড়েছে চিকন চালের। দেশের উত্তরাঞ্চলের ধান-চালের বড় মোকাম নওগাঁয় চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ ৫০ কেজি প্রতিটি বস্তায় গড়ে বেড়েছে প্রায় দুশ টাকা। অন্যদিকে শীতের আগাম সবজি আসতে থাকায় বাজারে সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে।

রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বাজারে জিরাশাইল ও বিরি-২৮ জাতের ধানের সরবরাহ কমায় চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে ভারত থেকে ‘সম্পা কাটারি’ চালের আমদানি বন্ধ হওয়ায় জিরাশাইলসহ সব চিকন চালের ওপর চাপ পড়েছে বলেও দাবি তাদের।

চালকল মালিকদের ভাষ্য, ধানের দামের সঙ্গে চালের বাজারের সামঞ্জস্য না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। বেশি দামে ধান কিনে কম দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। চিকন চালের দাম ৫০ টাকার মধ্যে থাকলে কৃষকরা ধানের দাম পাবেন বলেও মনে করছেন তারা।

জানা যায়, নওগাঁয় মোট ৯৫৭টি চালকল রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি অটোরাইস আর বাকিগুলো হাসকিং মিল। প্রতিদিন মিলগুলোর চাল উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন। এখান থেকেই চাহিদার অধিকাংশ চাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালের সরবরাহ হয়।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মোটা ও চিকন চালের দামের পার্থক্য সামান্য হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষই চিকন চাল কিনছেন। এ কারণে বাজারে চিকন চালের সংকট দেখা দিয়েছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিবস্তা ১ হাজার ৮শ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার টাকা হয়েছে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। এতে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে চিকন চালের দাম ৩৬ টাকা থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

কমেছে সবজির দাম

রাজধানীতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মাছ-গরু, খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে ডিম ও মুরগির দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও পলাশী বাজার কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি টমেটো ৯০-১০০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, গাজর (দেশি) বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, করলা ৩০-৪০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৩০-৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙা ৩০-৪০ টাকা, কাকরোল ৩০-৪০ টাকা, ঢেড়স ৩০-৪০ টাকা, বিট ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শসার দাম। বর্তমানে কেজিপ্রতি শসা ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, ক্ষিরা (শসা) বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমে আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস লাউ ৩০-৪০ টাকা, জালি কুমড়া ২০-৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে শাকের বাজারে প্রতি আটি (মোড়া) লাল শাক ৭-১০ টাকা, মুলা শাক ৮-১২ টাকা, পালং শাক ১৫-২০ টাকা, কুমড়া শাক ২০-২৫ টাকা, লাউ শাক ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এসব বাজারে।

এদিকে ফের দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের। বাজারে প্রতিকেজি বয়লার ১২০-১২৫ টাকা, লেয়ার ১৭০-১৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা, সাদা ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৩০-১৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরু ও মহিষের মাংস, খাসি ও বকরির মাংস, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/ডিএম)