সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ‘দালাল’ সরকারকে সরাতে হবে: ফখরুল

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৫১ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারকে ‘দালাল’আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সব মানুষকে এক করে দালালের মতো বসে থেকে যারা আমাদের সবকিছু তছনছ করছে তাদের সরাতে হবে। রাতের নির্বাচন বাতিল করতে হবে।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘ফেনী নদীর পানি চুক্তি: বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিপর্যয়’শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরোকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ হচ্ছে সরকারকে সরাতে হবে। এজন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। সেজন্য আমরা বলেছি রাতের নির্বাচন বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নতুনভাবে নির্বাচন করতে হবে। যার মাধ্যমে জনগণের সরকার হবে। গণতান্ত্রিক সরকার হবে।’

ফেনী নদীর পানি চুক্তির বিষয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এটা এমন একটা সংসদ যেখানে এই চুক্তিগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের সংবিধানে বলা আছে যেকোনো চুক্তি নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে হবে। অথচ তারা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফেনী নদী এটি অভিন্ন নদী নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন খাবার পানি চাইলে কি পানি দেব না? ভালো কথা পানি দেবেন। কিন্তু আমাদের যে লাখ লাখ মানুষ তিস্তার অববাহিকায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে, তাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জীবন-জীবিকা নষ্ট হচ্ছে, সে বিষয় নিয়ে আপনারা কথা বলবেন না? ১২ বছরেও তিস্তার এক ফোঁটা পানি আনতে পারলেন না।’

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১২ বছর থেকে শুনছি তিস্তা চুক্তি এই হয়ে যাচ্ছে, এই হয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে (ভারতের) সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে। অথচ তিস্তা থেকে আমরা এক ফোঁটা পানিও পাইনি।’

বিএনপি কখনো ভারত বিরোধিতা করেনি দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। সমস্যা হলো এমন একটা সরকার যারা আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। বার্গেনিং করতে পারে না। সেই শক্তিটা তাদের নেই।’

খালেদা জিয়াকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে তার ব্যাখ্যাও দেন বিএনপি মহাসচিব।

বলেন, ‘তাকে আটক করে রাখার কোনো বৈধতা নেই। আইনগতভাবে তিনি আটক থাকতে পারেন না। একটা মিথ্যা মামলার ওপরে সাজা দিয়ে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে আটক রাখা হয়েছে এজন্য তিনি হলেন স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক। যখন টিপাইমুখ বাঁধ করার জন্য তোরজোড় চলছিল তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন। তিনি প্রেস কনফারেন্স করেছেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই করেছেন। সেজন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।’

অ্যাব এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের (একাংশের) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/বিইউ/জেবি)