কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে আবর্জনার ভাগাড়

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২১

মাসুদ আলম, কুমিল্লা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ দিনদিন বাড়ছে। দুইটি মহাসড়ক হয়ে উঠেছে আবর্জনা ফেলার ভাগাড়। এতে সেখানকার পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। আবর্জনার তীব্র দুর্গন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীসহ ওই এলাকার মানুষ।

সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালতুলী এলাকায়, চান্দিনা উপজেলা পরিষদের রাস্তার প্রবেশমুখে ধানসিঁড়ি এলাকায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বালুজুরি এলাকায় মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসামে ভাটিয়াভিটা ও ছিলোনিয়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আবর্জনা ফেলা  হচ্ছে। এসব স্থানে দাউদকান্দি, চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ও নিমসার বাজারের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা জানায়, বেশি সমস্যার সৃষ্টি করছে লাকসাম এবং চান্দিনা পৌরসভার আবর্জনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, লাকসামে কোথাও রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করা হচ্ছে, আবার কোথাও রাস্তার পিচের উপর আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তীব্র দুর্গন্ধে যাতায়াতকারীরা নাক চেপে পথ পার হচ্ছেন। রাস্তার পাশে আগুন লাগিয়ে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলার কারণে মরে গেছে শতাধিক গাছ।

 লাকসামের চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, লাকসামে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ দিনদিন বাড়ছে। এতে সেখানকার পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। মানুষ আবর্জনা আড়ালে ফেলে, কিন্তু লাকসামে মহাসড়কের উপরে ফেলা হচ্ছে।  পৌরসভার উচিৎ নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা।

লাকসাম পৌরসভার প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা একটি জমি নিয়েছি। সেটি আবর্জনা ফেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানটি ঠিক হয়ে গেলে আর মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হবে না।

চান্দিনা পৌরসভার প্রকৌশলী শাহিনসার হোসেন বলেন, চান্দিনা পৌরসভার আবর্জনা ফেলার একটি স্থান রয়েছে। তবে মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন পৌর সচিব।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন, মহাসড়ক জাতীয় সম্পদ। এর সৌন্দর্য রক্ষায় সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে বাজার কমিটি ও পৌরসভাকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। আমরা এই বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/এলএ)