মায়ের অভিযোগে শাস্তি, মায়ের মুচলেকায় মুক্তি

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১৬ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৪৪

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গর্ভধারিণী মাকে মারধর করে আহত করে এক পাষণ্ড ছেলে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে হাজির করলে নিশ্চিত শাস্তির মুখ থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন সেই মা-ই। মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন ছেলেকে।

আজ রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। মাকে মারধর করা ছেলে আড়াইহাজার উপজেলার ফাউসা কুটি বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম।

সোনারগাঁয়ের তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ জানান, শনিবার রাতে ছেলে ইমাম হোসাইনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর জখম করায় লিখিত অভিযোগ করেন বৃদ্ধা মা ফাতেমা বেগম। অভিযোগের ভিত্তিতে ইমাম হোসাইনকে আটক করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আদালত থেকে একটি সমন শনিবার দুপুরে ইমাম হোসাইনের কাছে পৌঁছায়। এ সমন জারি ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ইমাম হোসাইন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর রাতে নিজে বাদী হয়ে ছেলে ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে সোনারগঁওা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন মা ফাতেমা বেগম। আটক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।

পরে আহত মা ছেলেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের কাছে মুচলেকা দেন। এরপর আদালত থেকে ছাড়া পায় পাষণ্ড ছেলে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, অভিযুক্ত ইমামকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। বিচারিক প্রক্রিয়ার সময় আহত মা তার ছেলে আর এমন করবে না বলে সুপারিশ  করেন। পরে তার মায়ের কথা বিবেচনা করে ‘ভবিষ্যতে এমন করবে না’ এ আশ্বাসে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/বিইউ/এলএ)