ব্যাংকগুলো নিয়ে বকাঝকার মধ্যে আছি: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:০৭ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৩৮

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের ব্যাংকগুলো নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ব্যাংকগুলো সম্পর্কে নানা ধরনের বকাঝকার মধ্যে আছি।

আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলা-২০১৯ এর সমাপনী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

তবে আজ সমাপনী অনুষ্ঠান হলেও মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলবে মেলা।

পিকেএসএফের প্রশংসা করে এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের যে কয়টি উন্নয়ন সংস্থা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, তার মধ্যে অন্যতম পিকেএসএফ। তারা পথিকৃতের ভ’মিকা পালন করছে। দারিদ্র্য বিমোচন কাজে পিকেএসএফ অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছে।’

সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ চায় না এবং তাদের নিজস্ব আইন-কানুনের মাধ্যমে পরিচালিত কোহ তা চায় বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তবে ব্যাংকগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত আছি। নানা ধরনের বকাঝকার মধ্যে বাস করি। তারপরও চাই ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব বোর্ড, নিজস্ব চেয়ার, নিজস্ব বিধি-বিধান অনুযায়ী চালুক। সকাল, বিকাল হস্তক্ষেপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর মোটেও উদ্দেশ্য নয়।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এখন তিন বেলা পেট ভরে ভাত খাচ্ছি। প্রায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। এর চেয়ে বড় উন্নয়ন মেলা আর কী হতে পারে। এই একটি কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন পরিমাণ পুণ্য অর্জন করেছেন যে, তার বেহেস্তে যাওয়ার অধিকার আছে। হক আছে।’

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ তার সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে জানান, সারা দেশে ১৮ লাখের মতো উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছেন তারা। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। আমাদের কাজ হলো সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান করা। এখন আমরা যার যা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ঋণ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করছি।’

 (ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/জেআর)