১৮ লাখ উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে পিকেএসএফ

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামন আহমদ বলেন, ‘সারাদেশে ১৮ লাখ উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে পিকেএসএফ। আমাদের পুরো প্রক্রিয়া হলো মানকেন্দ্রিক বহুমুখী উন্নয়ন।’

সোমবার পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

ড. কাজী খলীকুজ্জামন আহমদ বলেন, ‘আমরা সরকারি নীতি কাঠামোতে কাজ করি। আমাদের পুরো প্রক্রিয়া হলো মানকেন্দ্রিক বহুমুখী উন্নয়ন। আমরা যার যা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ঋণ দেই। প্রায় ১৮ লাখের মত উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছি সারাদেশে।’

তিনি বলেন, ‘পিকেএসএফ-এর লক্ষ্য পিছিয়েপড়া, পিছিয়েথাকা এবং পিছিয়েরাখা মানুষের অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও তাদের মানবমর্যাদা নিশ্চিত করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমানুষের দোরগোড়ায় বিভিন্ন ধরনের বহুমাত্রিক, দীর্ঘমেয়াদী, মানবকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। পর্যায়ক্রমে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা করা হয়। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করি । কারণ প্রযুক্তি না ব্যবহার করলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে না।’

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘পিকেএসএফ এক কোটি ৪০ লাখ পরিবারকে বৈচিত্রপূর্ণ আর্থিক সহায়তা করেছে। পরিবারকে কেন্দ্র করে পিকেএসফে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।’

১৯৯০ সালে সরকার পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠা করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উদ্যেক্তাদের সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হচ্ছে।

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করার মাধ্যমে তৃণমূল থেকে মেলায় অংশগ্রহণ করা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী হাবিবুর নাহার বলেন, ‘আমার এলাকায় দেখেছি অনেক উদ্যোক্তা আছে তাদের পণ্য তারা বাজারজাত করতে পারে না, বিদেশে পাঠানোর মতো যোগ্যতা তাদের থাকে না। তাদের এ বিষয়ে সহায়তা করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর গ্রামীণ উন্নয়নে জোর দিতে হবে।’

আইসিটি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘পিকেএসএফ বলে কম, কাজ করে বেশি। দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার জন্য পিকেএসএফ কাজ করে যাচ্ছে। এটা আমাদের শিক্ষণীয়। উন্নয়ন মেলা এখন ছড়িয়ে গেছে সারাদেশের ঘরে ঘরে।’

পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আজ সমাপনী অনুষ্ঠান হলেও মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। পিকেএসএফ এক কোটি ৪০ লাখ পরিবারের মধ্যে কাজ করে। সেই হিসাবে পাঁচ থেকে ছয় কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করে পিকেএসএফ। এই উন্নয়ন মেলায় তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এসেছে।  ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৯০টি স্টল রয়েছে মেলায়।’

সবশেষে ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘দলছুটএর মনোজ্ঞ পরিবেশনা।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/জেআর/এলএ)