কুলিয়ারচর ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করলেন অতিরিক্ত ডিসি

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:০৬

রাজীবুল হাসান, ভৈরব প্রতিনিধি

রেলওয়ের গেটম্যানকে মারধরের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ইউএনওর বিরুদ্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অভিযোগের তদন্ত করছেন এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. গোলাম মোস্তফা। কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বাদী-বিবাদীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

এ সময় রেলওয়ের অভিযোগকারী গেটম্যান সিফরাত হোসেন, রেলওয়ের ভৈরব অফিসের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী জিসান দত্ত, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জান, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. আ. হাই তালুকদার, ভৈরব রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই সুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

বিবাদী অভিযুক্ত কুলিয়ারচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আজিজ ও তার অফিস পিয়ন হিমেলসহ কয়েকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সুলতান আলী গত ১১ নভেম্বর ভৈরব রেলওয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার দুই দিন পর ঘটনাটি তদন্ত করতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত টিম প্রধান আজ সকালে কুলিয়ারচর উপস্থিত হয়ে ঘটনায় সাক্ষীসহ  উভয়পক্ষের  বিস্তারিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তদন্তকালে অভিযোগকারী সিফরাত হোসেন সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।  অপরদিকে ইউএনও কাউসার আজিজ ও তার অফিস পিয়ন হিমেল তাদের বক্তব্য পেশ করেন।

অভিযোগের তদন্ত প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মোস্তাফা সাংবাদিকদের জানান, তদন্তকাজ শেষ হয়নি। তদন্তকাজ শেষ হলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। তদন্তের বিষয়ে  এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

গত ৮ নভেম্বর দুপুরে কুলিয়ারচর এলাকায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন আসার সংকেত পেয়ে রেলওয়ের গেটম্যান সিফরাত হোসেন রেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার ফেলেন। এ সময় সড়কে অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে ইউএনও কায়সার আজিজের গাড়িও আটকা পড়ে। পরে এ নিয়ে গেইটম্যানের সঙ্গে ইউএনও এবং তার অফিস পিয়ন তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে গেটম্যানকে ইউএনও ও তার পিয়ন গালিগালাজ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়। তবে ইউএনও গত ১৪ নভেম্বর গেটম্যানের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক দাবি করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

ভৈরব রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. সুরুজ্জামান বলেন, ‘থানায় দেয়া অভিযোগটি এখনো এফআইআর করা হয়নি। সোমবার তদন্তকালে আমাকে ডাকা হলে সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম।’

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/মোআ)