পাইকারদের ‘লোভের কাঁটা’ মজুদের পেঁয়াজ

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩৭ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫১

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

অতি মুনাফার লোভে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ মজুদ করেছিলেন অসাধু পাইকাররা। তবে দাম পড়তির দিকে থাকায় সেই পেঁয়াজই তাদের লোভের কাঁটা হয়ে এসেছে এবার। রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি বাজারে এমন পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা। দিনভর বসে থাকলেও তারা দেখা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, তারা বেশি দামেই কিনে মজুদ করেছিলেন। অতি লোভের বশে নয়। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। অল্প করে হলেও বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় তারা মজুদের পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পাইকার ব্যবসায়ীরা দোকানে চিন্তিত বসে রয়েছেন। ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা নেই। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আড়তদারদের সঙ্গে পেঁয়াজের দাম পড়ার খবর নিচ্ছেন।

মোহাম্মদপুরের নতুন কাঁচা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার থেকে তাদের পেঁয়াজ বিক্রি কমেছে। তাই আগে থেকে এনে রাখো পেঁয়াজ লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে ক্রেতা না থাকায় তাও বিক্রি হচ্ছে না। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে মজুদ করা পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারলে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা চিন্তায় পেেড়ছেন।

কৃষি মার্কেটের মামা-ভাগ্নের বানিজ্যলয়ের মালিক শাহ আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে, এমনটা মনে করে কেউ পেঁয়াজ কিনছে না। সোমবার থেকে পাঁচ বস্তা পেঁয়াজও বিক্রি করতে পারি নাই। কাষ্টমার নাই। প্রতি কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত লস দিতেছি। তারপরেও কাষ্টমার না থাকলে তো আমরা আরও বিপদে পড়ব।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত আড়ত থেকে তারা ২১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। ফলে কেজি প্রতি ৬০ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

এদিকে মিশর থেকে কার্গো বিমানে পেঁয়াজের চালান দেশে পৌঁছানো শুরু করলে নিত্যপণ্যটির দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার দেশে উৎপাদিত কলিসহ পেঁয়াজ বাজারে আসতে থাকায় ক্রেতাদের পছন্দে রয়েছে সেই পেঁয়াজ। আবার দামেও তা অনেক কম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/কারই/ডিএম