ঘুষসহ গ্রেপ্তার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার নৌ-অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার একেএম ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক দুদক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই সাক্ষী হলেন, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নূর আলম। তিনি আসামি ফখরুল ইসলামকে আটকের ঘটনায় দুদকের ফাঁদ টিমের সদস্য ছিলেন। ওই সম্পর্কেই তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার এই সাক্ষী সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৮ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।

মঙ্গলবার সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর জামিনে থাকা আসামি একেএম ফখরুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনের অনুমতি প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করে।

আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো ও প্রকাশ রঞ্জন বিশ^াস সাক্ষীকে জেরা ও বিদেশ গমনের আবেদনের শুনানি করেন।

ওই মামলার দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, মামলাটিতে এনিয়ে বাদী দুদকের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল ওয়াদুদসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষী রয়েছে।

এর আগে মামলাটিতে একই আদালত ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।

মামলাটিতে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন।

একই বছর ১৮ জুলাই নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিবলায়ের নিজ দপ্তরে ঘুষগ্রহণকালে ফখরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করে দুদকের একটি টিম। পরদিন তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি জামিন পান।

মামলায় বলা হয়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরে আবেদন করে। কিন্তু জাহাজের আকারভেদে প্রতি নকশা অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন সময়ে পাঁচ থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলাম। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল এমভি নওফেল লিহান জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ফখরুল। ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল মেরিন কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার তাকে দাবিকৃত ঘুষ প্রদানে সম্মত হয়ে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করে। বিষয়টি জানার পর দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম সকাল থেকে ওই ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়। এরপর বেলা ২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের অথরাইজড পারসন এএনএম বদরুল আলমের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার পর ওই টাকাসহ হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/আরজেড/জেবি)