রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর রাজীব কারাগারে

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২০:০২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-২ এর এসআই প্রণয় কুমার প্রামাণিক রাজীবকে মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, রাজীব রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজীব মোহাম্মদপুর থানা এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র-গুলি এবং মাদকের ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলদারিত্বের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধ জগতের সুলতান হিসেবে অভিভূত হয়। রিমান্ডে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যা যাচাই-বাছাই চলছে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

রাজীবের পক্ষে মেজবাহ উদ্দিনসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর রাতে আদালত অস্ত্র ও মাদক মামলায় এই আসামির সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৪ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১১ নভেম্বর ফের চার দিন এবং সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার করে ব্যাব। ওই ঘটনায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে। রাজীব ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি আবার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বাবা রডের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। তার চাচা ছিলেন রাজমিস্ত্রি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজীবের পরিবর্তন শুরু হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/আরজেড/জেবি)