সুইপার কলোনি নির্মাণে দুর্নীতির মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২০:২৭

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জে সুইপার কলোনি নির্মাণে প্রায় দেড় কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। সাক্ষ্য প্রদানকারী এই মামলার বাদী।

এর আগে এই মামলায় ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট একই আদালত মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে।

মামলার আসামিরা হলেন, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-১ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেজবাহুল করিম, একই অঞ্চলের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান, একই অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (পরিবেশ) নির্মল চন্দ্র দে ও মেসাস আবুল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক ভবন নির্মাণের ঠিকাদার মো. আবুল হোসেন চৌধুরী। জামিনে থাকা এই আসামিরা সাক্ষ্য গ্রহণকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৬ সালের ১৩ জুন রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় এই মামলা দায়ের হয়। মামলায় বলা হয়, মামলার প্রথম তিন জন আসামি ওই ভবন নির্মাণের জন্য এক কোটি ৮৪ লাখ ১৩ হাজার ২৫২ টাকা নির্মাণ ব্যয় প্রস্তুত করে অনুমোদন করান। ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেখানে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে আবুল অ্যান্ড ব্রাদার্স দুই কোটি দুই লাখ ১২ হাজার সাত টাকায় কাজ পান। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজটি সিডিউল মোতাবেক বাস্তবায়ন না করলেও প্রথম তিনজন আসামির সুপারিশের ভিত্তিতে চার কিস্তিতে এক কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ১০ টাকা করা হয়। ওই ভবন পরবর্তী সময়ে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে মতামত দেন। তাই পরবর্তী সময়ে ওই ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ১০ তলা ভবণ নির্মাণের সিদ্ধান্ত একনেক কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। ফলে ওই ভবন নির্মাণে সরকারের এক কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ১০ টাকা ক্ষতি হয়।

মামলাটিতে ২০১৭ সালের দুদকের উপ-পরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/আরজেড/জেবি)