এবার সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফেসবুকে লাইভে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন অবমাননা এবং প্রধানমন্ত্রীকে মানহানির মামলায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস্ সামস জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। যার প্রতিবেদন মঙ্গলবার দাখিল হয়। সেখানে আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছেন মর্মে উল্লেখ ছিল। তাই ট্রাইব্যুনালে সম্পত্তি ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে। এরপর আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করে।

চলতি বছর ২৩ এপ্রিল ঢাকা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন এই মামলা করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। 

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্তের পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই পার্থ প্রতীম ব্রক্ষ্মচারী আসামি ফেবুদার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লাইভে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছর ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রেলিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র আল কোরআন নিয়ে অবমননাকারী মন্তব্য করেন এবং মোহাম্মদ সা. সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল মন্তব্য করেন। যা বাদীসহ মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ^াসের ওপর আঘাত করেছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এছাড়া এই আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন । তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে খুনি, কুলাঙ্গারসহ এমন কোনো খারাপ ভাষা নেই যে তার প্রতি উচ্চারণ করেননি।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই সেফুদা উন্মাদ ও বাবার ত্যাজ্যপুত্র। ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর। তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের ছেলে। তার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘর মিলে সেফুদার ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। তার মধ্যে সেফুদার আপন ভাই-বোনের সংখ্যা আটজন। তবে কারো সাথে তার সম্পর্ক নেই।

পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/আরজেড/জেবি)