জরিমানায় নমনীয়তা, দুই দিনে ১৬৭ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১৫ | প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১০

সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলেও বাস্তবায়নে এখনই কঠোর হচ্ছে না সরকার। নতুন আইনে অভিযান চললেও জরিমানার ক্ষেত্রেও নমনীয় সড়ক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিআরটিএ। আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে জরিমানা কম করা হচ্ছে বলে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের ভাষ্য। গত দুই দিনে রাজধানীতে বিআরটিএ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাড়ির মালিক ও চালককে মামলা করা হয়েছে ১৬৭টি। জরিমানা করা হয়েছে দুই লাখ ৪১ হাজার টাকা।

এদিকে আইনের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কে। গণপরিবহন কম, বিভিন্ন জেলায় গাড়ি বন্ধ এবং পণ্য পরিবহনে ট্রাক মালিকদের অবরোধের ঘোষণায় ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। তার মধ্যে খুলনা বিভাগের নয় জেলাসহ ১৬ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।

২০১৮ সংসদে নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস হলেও এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ১৭ দিন প্রচার-প্রচারণার পর গত সোমবার থেকে আইন প্রয়োগ শুরু করেছে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিআরটিএ। অভিযানে যেসব যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো মানুষ ক্রটির ঊর্ধ্বে না। যান্ত্রিক যানবাহনে ক্রটি থাকতে পারে। ক্রটিকে অপরাধ হিসেবে নিয়ে বড় শাস্তি বা জরিমানা মালিক-শ্রমিকরা মেনে নিতে পারে না। দেশে চলাচলকারী যানবাহনের চেয়ে চালকের সংখ্যা অর্ধেক। নতুন আইনে দুর্ঘটনায় জামিন অযোগ্য, ফলে চালকের সংকট আরো তীব্র হবে। তাই নতুন আইনের সংশোধন ও বিভিন্ন ধারা বাতিল চায় তারা।

বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘লাইসেন্স কিংবা গাড়ির ফিটনেস ঝামেলা থাকলে জরিমানা ২৫ হাজার করা হয়েছে। যা একজন চালককে দুই মাসের বেতন দিয়ে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। এই ধরনের জরিমানা খুবই অসামাঞ্জস্য। তাছাড়া ফিটসেন পরীক্ষা করাতে বিআরটিএতে সময় লাগে ১৫ দিন। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামলা করা বন্ধ করতে হবে।’

বিআরটিএর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ভয় পেয়ে অবরোধ বা গাড়ি চালানো বন্ধ রাখছে। পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আজও (মঙ্গলবার) বসা হয়েছে। তাদের বোঝানো হচ্ছে। হয়তো অবরোধ বা রাস্তায় গাড়ি বন্ধ তারা রাখবে না। আসলে আমরা এখনই আইন সম্পর্কে এতটা কঠোর না। মানুষকে সচেতন করছি। রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে যে জরিমানা করছে তার পরিমাণ প্রায় আগের মতই। অনেক মামলায় পাঁচ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে কিন্তু আমরা তা করছি না।’

দ্বিতীয় দিনে ৭৯ মামলা

সড়ক পরিবহন আইন মানাতে গতকালও রাজধানীর সাতটি স্পটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এদিনে ক্রটিপূর্ণ পরিবহন ও চালকদের মামলা জরিমানা করা হয়। ফিটনেস, গাড়ির রঙ পরিবর্তন, রেজিস্ট্রেশন ও ট্যাক্স টোকেনের ব্যত্যয়ের কারণে ৭৯টি মামলা করা হয়। এতে জরিমানা করা হয় এক লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/এসএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :