প্রধানমন্ত্রীর শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ব্যাপারে সারা বিশ্ব একমত পোষণ করবে বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন সভায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ ১৫টি লক্ষ্য সামনে রেখে মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে শুরু হওয়া যৌথ সভাটি তুরস্কের সঙ্গে পঞ্চম সভা। এতে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িব এরদোয়ান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবতার ইতিহাস তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের মতো জনবহুল ঘনবসতিপূর্ণ দেশে মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদেরকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছেন তাতে তাদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘তুরস্ক চার মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, আর বাংলাদেশ এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম প্রধান জনবসতি ঘনত্বপূর্ণ একটি ছোট দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি সামাজিক বন্ধন ও সম্প্রীতির দেশ এবং এটি আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও একটি হাতিয়ার। এখানে একে অপরের কষ্টে ব্যথিত হয়, যেকোনো ধরনের আপদ বিপদে একে অপরকে যেভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে এ গিয়ে আসে তা যেকোনো দেশের ইতিহাসে বিরল।’

বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের তুরস্কের সঙ্গে এটা পঞ্চম সভা। তিন দিনের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইসিটি, শিপ বিল্ডিং, শিল্প, কর্মসংস্থান, নৌ-পরিবহন, কৃষি, শিক্ষা, নগরায়ন, প্রাকৃতিক দুরোগ ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ও বিমান পরিবহন, জ্বালানি-বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি-ট্যুরিজম, ডেভলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স, মানবসম্পদ উন্নয়ন, পাট-টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া এতদিন ধরে চলে আসা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন করে আর কী কী খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/জেআর/জেবি)