সড়ক পরিবহনের নতুন আইনে ইতিবাচক পুলিশ

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:২২

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আপত্তি থাকলেও আইনটি বাস্তবায়নে প্রস্তুত পুলিশ। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটির সদস্যরা আটঘাট বেঁধে নেমেছেন সড়কে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের সব বিভাগের ৮০০ জনকে নতুন আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্টের গায়ে ক্যামেরা লাগিয়ে তদারকি করার ঘোষণাকেও স্বাগত জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে নতুন আইন নিয়ে পুলিশ ইতিবাচক।

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর থেকে প্রচার-প্রচারণায় নামে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। জনগণকে সচেতনতার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বইও ছাপা হয়েছে। পুলিশের সব কর্মকর্তাকে এক মাসের মধ্যে নতুন আইন সম্পর্কে জানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত দুই দিন রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে, নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করাসহ রাস্তা পারাপারে নিয়ম মানার বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি বাড়াতে চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ। এ ছাড়া পথচারীদের রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন তারা।

গত ৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, আইন অমান্য করে কোনো ট্রাফিক পুলিশ যেন অবৈধ সুবিধা নিতে না পারেন সে জন্য তাদের গায়ে ক্যামেরা লাগানো হবে। কোনো কর্মকর্তা মামলা না দিয়ে অন্য কোনোভাবে সুবিধা নিলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দায়িত্বরত একাধিক ট্রাফিক সার্জেন্টদের কথা বলে জানা যায়, নতুন আইনকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। আর পথচারীরাও আগের চেয়ে সচেতন হচ্ছেন বলে তারা মনে করছেন। দায়িত্বপালনকালে শরীরে ক্যামেরা লাগানোর বিষয়েও তারা ইতিবাচক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর বনানী এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী এক পুলিশ সার্জেন্ট বলেন, ‘না, এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। অনেক আগে থেকেই আমাদের গায়ে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। এতে কাজে স্বচ্ছতা আসবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’

মোহাম্মদপুর এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সরকার যে আইন পাস করবে আমাদের কাজ সেই আইন বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করা। আমরা এখন দিনরাত ধরে সেই কাজটিই করছি। আর গায়ে ক্যামেরা লাগালে ক্ষতি কী? আমি যদি সঠিকভাবে আমার কাজটি করি তাহলে ক্যামেরা লাগালে আমাদের কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।’

উত্তরা এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বলেন, ‘আইন পাস করে সরকার। আর আমরা তা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করি। একটি আইন পাস করতে হলে সরকারের অনেক উচ্চ পর্যায়ের মানুষ কাজ করে থাকে। বিদেশের আইনকানুন ফলো করেই এসব আইন করে থাকে।’

‘ফলে আমাদের সবার উচিত সেই আইন মেনে চলা। এখন কেউ কেউ বলেছেন গাড়ি চালকরা গরিব মানুষ তাদের এত টাকা জরিমানা করা ঠিক না। তাহলে একজন গাড়ি চালক কেন লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাবে? সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আইন বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/ডিএম)