নিয়মিত দিবারাত্রির টেস্টের পক্ষে নন কোহলি

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪২

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দিাবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে চলছে বাড়তি উত্তেজনা। তবে, স্বাগতিক দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, এখানে কেউ টেস্ট ক্রিকেটের খাঁটি ভক্ত নন। বরং তারা এটিকে নিচ্ছে শুধু মজা করার অনুষঙ্গ হিসেবে। তার মতে, গোলাপি বলের ক্রিকেট কখনোই ভবিষ্যতের টেস্ট হয়ে উঠতে পারবে না।

আগামীকাল (শুক্রবার) কলকাতায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্ট। গোলাপি বলে দুই দলেরই এটি প্রথম টেস্ট। গোলাপি বলের প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে কোহলি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি মনে করি না টেস্টের ভবিষ্যৎ গোলাপি বলের ক্রিকেটে নিহিত রয়েছে। আমার মনে হয় না ভবিষ্যতে গোলাপি বলেই টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত। কারণ টেস্ট ক্রিকেট জনপ্রিয় করার জন্য এটি একমাত্র উপায় হতে পারে না। কারণ এ সময় সকালে প্রথম সেশনে খেলা নিয়ে আপনার মধ্যে থাকা নার্ভাসনেস উবে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, এর মাধ্যমে আপনি টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চ নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু তাতে টেস্ট ক্রিকেটের একেবারেই খাঁটি বিষয়টি দিতে পারবেন না। পারবেন শুধু মানুষকে আনন্দ দিতে। আপনি জানেন যে টেস্ট ক্রিকেটের আসল মজাটি হচ্ছে একজন ব্যাটসম্যান গোটা সেশন জুড়ে টিকে থাকার চেষ্টা করবে। আর বোলারের চেষ্টা থাকবে তাকে আউট করে ফিরিয়ে দিতে। মানুষ যদি ওই মজাটিই না পায় তাহলে সেটি অবশ্যই খারাপ হবে। কারণ সেটি দেখতেই তারা টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করতে আসে। আমি যদি টেস্ট ক্রিকেট পছন্দ না করি, তাহলে আপনি জোর করে সেটিকে পছন্দ করাতে পারবেন না।’

ভারতীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘কেউ যদি ব্যাট বলের অসাধারণ এই সেশন থেকে অনুপ্রেরণা এবং এই লড়াই দেখে রোমাঞ্চ খুঁজে পায় তাহলে আমি বলব তারাই যেন এই ক্রিকেটটি দেখার জন্য মাঠে আসেন। কারণ তারা বুঝতে পারবে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, এর দ্বারা ক্রিকেট বিশ্বে নবজাগরণ সৃষ্টি করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। এখানকার টেস্টের (কলকাতা) প্রথম তিন-চার দিনের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এটি দারুণ ব্যাপার।’

এই খেলা কীভাবে আরো উপভোগ্য করা যায় সেটি নিয়ে নিজের একটি রেসিপিও দিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘যদি এর একটি ক্যালেন্ডার ও কেন্দ্রবিন্দু থাকে তাহলে মানুষ অবশ্যই একটি ধারণা রাখতে পারবে, তখন সেটি দেখার বিষয়ে আগে থেকেই নিজের পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। আগে থেকেই যদি জানতে না পারে তাহলে মানুষ নিশ্চয়ই তার কর্মস্থল ছেড়ে হুট করে এই খেলা দেখতে আসতে পারবে না। তাদেরকে আগেভাগেই পরিকল্পনা করতে হবে। যেমনটি আপনি নিজের জীবন নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকেন। সুতরাং আমার মনে হয় এ রকম কিছু একটা করা যেতে পারে। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিয়মিতভাবে এটি আয়োজনের পক্ষে নই আমি।’

(ঢাকাটাইমস/২১ নভেম্বর/এসইউএল)